Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

আসামে এমপি-মন্ত্রী-নেতাদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ, নিহত ৫

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৪২ PM
আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৪২ PM

bdmorning Image Preview


ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল, ২০১৯ এর প্রতিবাদে জ্বলছে দেশটির উত্তর-পূর্ব অঞ্চল।

বুধবার রাতে রাজ্যসভায় বিল পাসের প্রতিবাদে কারফিউ ভেঙে রাজপথে নেমে আসে মানুষ। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে পাঁচজন।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, নাগরিকত্ব বিল পাসের সঙ্গে সঙ্গে আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুর, অরুণাচল রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।

স্থানীয় বাঙালি এলাকায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে কারফিউ ও সেনা-আধাসেনা মোতায়েন করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।

বুধবার রাতে বিল পাসের পরে অসমিয়াদের রোষের মুখে পড়ে ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার বাঙালিরা। রাজ্যের রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভে নামে তারা।

বৃহস্পতিবার দিনজুড়ে অশান্ত হয়ে উঠে আসাম। বাঙালি এলাকায় দোকান, ঘরবাড়ি, গাড়ি পুড়িয়ে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখে বিক্ষোভকারীরা। পোড়ানো হয় পোস্ট অফিস, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, জেলা পরিষদ কার্যালয়।

রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ স্যানাল এবং কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী রামেশ্বর তেলির বাড়িতে হামলার চেষ্টা চালায় বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশের লাঠিপেটা ও গুলিতে বেশ কয়েক জন বিক্ষোভকারী আহত হয়। যাদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর নিজের এলাকা ছাবুয়ার বিধায়ক বিনোদ হাজারিকার বাড়িতে আগুন লাগানো হয়। আক্রান্ত হয় মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা শান্তনু ভরালি, বিজেপির মন্ত্রী রঞ্জিত দত্ত, বিধায়ক আঙুরলতা ডেকার বাড়িও। আসামের গণপরিষদের গুয়াহাটির আমবাড়ি সদর দপ্তরেও ভাঙচুর হয়।

এমন পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক সূত্রের জানা গিয়েছে, সেনাবাহিনীর হাতে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব তুলে দেওয়ার চিন্তা করছে কেন্দ্র।

আসামের রাজধানী গুয়াহাটির উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও বিভিন্ন বাঙালি এলাকায় ভাঙচুরের ঘটনায় শিলং শহর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। এ ছাড়া জারি করা হয়েছে নৈশ কারফিউ।

Bootstrap Image Preview