Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন থেকে গর্ভবতী নারীও বাঁচতে পারেনি: গাম্বিয়া

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:২৯ PM
আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:২৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে (আইসিজে) তৃতীয় দিনের শুনানিতে গাম্বিয়ার এজেন্ট আদালতকে বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা প্রত্যেককেই নির্যাতন করেছে। তাদের হাত থেকে বাঁচতে পারেনি গর্ভবতী নারী ও ছোট্ট শিশুরাও। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। দেশটিতে তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে।

শুনানির শেষ দিনে বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে প্রথমে গাম্বিয়া যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছে এবং পরে মিয়ানমার করবে। এরপর আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আদালত রায় ঘোষণা করতে পারেন।

আদালতে গাম্বিয়ার এজেন্ট জানান, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এক ধরনের প্রতারণা। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য রাখাইনের পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে সক্ষম কিন্তু অনিচ্ছুক।

তিনি আরও জানান, জাতিসংঘের প্রতিবেদনে ৩৯২টি গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মিয়ানমার তা অস্বীকার করেনি। তারা নিজেরাই বলেছে, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা এই হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ও তাদের বিচার হচ্ছে। কিন্তু মিয়ানমারের ২০০৮ সালের সংবিধান অনুযায়ী সেনাবাহিনীর কারও অপরাধের বিচার করার এখতিয়ার কেবলমাত্র সামরিক আদালতেরই রয়েছে।

গাম্বিয়ার ওই এজেন্ট জানান, রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নৃশংসতার অভিযোগে তার সৈন্যদের বিচার করার পক্ষে মিয়ানমারকে বিশ্বাস করা যায় না। আর সেনাবাহিনী যে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিচার করবে না সেটি প্রমাণ হয় সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বক্তব্যে। তাই সহিংসতা বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

এর আগে গতকালের শুনানিতে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বলেন, দুঃখজনকভাবে, গাম্বিয়া রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিমূলক চিত্র তুলে ধরেছে। তিনি তার দেশের বিরুদ্ধে আনা গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গণহত্যার উদ্দেশে অভিযান পরিচালনার অভিযোগে বিচার শুরু হয়েছে। কিন্তু রাখাইনে ২০১৭ সালের সামরিক অভিযানে রক্তপাত হলেও গণহত্যার মতো কিছু হয়নি। তবে তিনি স্বীকার করেন, মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনী হয়তো মাত্রাতিরিক্ত রকমের শক্তি প্রয়োগ করে থাকতে পারে। সু চি আরো বলেন, যদি মিয়ানমারের সৈন্যরা যুদ্ধাপরাধ করে থাকে তাহলে তাদের বিচার করা হবে।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি জটিল এবং রোহিঙ্গারা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে স্বীকার করেছেন সু চি। কিন্তু ২০১৭ সালের সেই রক্তাক্ত অভিযানের কথা বলতে গিয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ নিয়ে সু চি বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি’র (এআরএসএ) মতো সশস্ত্র স্থানীয় গোষ্ঠীর আক্রমণের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল।

 

Bootstrap Image Preview