দারুণ খেলছিলেন এনামুল হক বিজয় ও জাকের আলি। তবে তারা বিচ্ছিন্ন হতেই পথচ্যুত ঢাকা প্লাটুন। আর ঘুরে দাঁড়াতে পারল না তারা। শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রান তুলতে সক্ষম হলো রাজধানীর দলটি।
বৃহস্পতিবার হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং নেন রাজশাহী রয়্যালস অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। ফলে আগে ব্যাট করতে নামে মাশরাফি বিন মুর্তজার ঢাকা। এ ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘদিন পর মাঠে ফেরেন মাশরাফি। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ককে আর মাঠে দেখা যায়নি।
একই সঙ্গে ম্যাচটি দিয়ে খেলায় ফেরেন বাঁহাতি ওপেনার তামিম ইকবাল। গেল কয়েকটি সিরিজে ব্যক্তিগত কারণে জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন তিনি। তবে প্রত্যাবর্তনটা ভালো হয়নি ড্যাশিং ওপেনারের। মাত্র ৫ রান করে আবু জায়েদের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বিশ্বকাপের পর শ্রীলংকা সফরেও ব্যর্থ ছিলেন দেশসেরা ওপেনার।
পরে লরি ইভান্সকে নিয়ে খেলা ধরার চেষ্টা করেন এনামুল হক। ভালোই খেলছিলেন তারা। তবে হঠাৎ থেমে যান ইভান্স। ফরহাদ রেজাকে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসেন তিনি। তবে রানের চাকা স্লো হয়নি ঢাকার। জাকের আলিকে নিয়ে এগিয়ে যান এনামুল। দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। কিন্তু ক্ষণিকের ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউটে কাটা পড়েন জাকের। ফেরার আগে ২১ রান করেন তিনি।
তারা বিচ্ছিন্ন হতেই পথচ্যুত হয় ঢাকা। এরপর তাইজুল ইসলামের বলে দ্রুত ফেরেন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান থিসারা পেরেরা। সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি এনামুল। অলক কাপালির স্পিন ভেলকির ফাদেঁ পড়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৩৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ডানহাতি ওপেনার।
সেই রেশ না কাটতেই যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন বুমবুম শহীদ আফ্রিদি। রবি বোপারার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। মাত্র ৫ রানেরমধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ধ্বংস্তূপে পরিণত হয় ঢাকা।
এই পরিস্থিতিতে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট আরিফুল হক। তিনিও হন রানআউট। কিছুক্ষণ পর একই দশা হয় মেহেদী হাসানের।