বর্তমান আধুনিক বিশ্বে জন্মনিয়ন্ত্রণ করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে কোনোটা স্বল্প মেয়াদী আবার কোনোটা দীর্ঘ মেয়াদী। কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠে প্রাচীনকালে মানুষ কিভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতো? নাকি সেসময় জন্মনিয়ন্ত্রণ করাটাই মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে ছিল? না, সেসময়ও মানুষ জন্মনিয়ন্ত্রণ করতো।
তাহলে জেনে নেওয়া যাক প্রাচীনকালে জন্মনিয়ন্ত্রণের কিছু পদ্ধতি।
১. প্রাচীন মিশরে গর্ভধারণ এড়াতে নারীরা ব্যবহার করতেন মধু। প্রাচীন মিশরীয়রা মনে করতেন মধুর প্রলেপ থাকলে পুরুষের শুক্রানু নারী দেহের ভেতর প্রবেশ করতে পারবে না।
২. গ্রিস দেশে আবার জন্মনিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিটা ছিল ভিন্ন। তাদের পুরুষেরা অলিভ অয়েল আর সিডারের তেল একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতেন। তারা মনে করতেন এই অলিভ অয়েল মিশ্রিত তেল শুক্রাণুকে দুর্বল করে দেয়। যা নারীকে গর্ভবতী হওয়া থেকে বিরত রাখে।
৩. আপনি জানলে অবাক হবেন বর্তমান পৃথিবীর সবচে উন্নত দেশ আমেরিকাতে ১৯০০ সালের প্রথমদিকেও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বৈধ ছিল না। সেসময় বাজারে লাইসল নামে একটি পণ্য ব্যবহার করা হয়। যেটি নারী দেহের ভেতর গিয়ে খানিকটা অংশ জ্বালিয়ে দিবে আর নিরাপদভাবে নিশ্চিত করবে জন্মনিয়ন্ত্রণ। তবে, যতই নিরাপদ বলা হোক না কেন, এটি ব্যবহারে অনেকেই আহত হন। এমনকি মৃত্যুও হয় পাঁচজনের।
৪. মধ্যযুগে অযাচিত গর্ভধারণ রোধ করতে যৌনমিলনের আগে নারীদের ঘরের বাইরে গিয়ে কোনও নেকড়ের মূত্র ত্যাগ করার স্থানের ওপর মূত্র ত্যাগ করতে হতো। কিংবা ঘুরে আসতে হতো কোনও গর্ভবতী নেকড়ের মূত্রত্যাগের স্থান থেকে।
৫. গ্রিনল্যান্ডে মনে করা হতো নারীদের গর্ভবতী হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান চাঁদের। আর তাই গর্ভধারণ এড়াতে তারা চাঁদকেই এড়িয়ে চলতো।
৬. চীনে গর্ভধারণ এড়ানোর জন্য পারদ আর তেলের মিশ্রণ পান করানো হতো। খালি পেটে নারীদের এ মিশ্রণ খাওয়ানো হতো। চীনাদের মতে, এভাবে অসময়ে গর্ভধারণ এড়ানো যেত। কিন্তু বর্তমানে সবাই জানেন, হাড় আর দেহের জন্য পারদ কতোটা ক্ষতিকর।