Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতার আবেগঘন স্ট্যাটাস

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:২৯ PM
আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:৪২ PM

bdmorning Image Preview


পদ পদবি তথা ছাত্ররাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে ফেসবুকে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন কুমিল্লা উত্তর ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এড.মিয়া মতিউর রহমান ইউসুফ। তৃণমূল ছাত্রলীগে ব্যাপক জনপ্রিয় কর্মীবান্ধব ছাত্রলীগের ত্যাগী নেতা এড.মিয়া মোহাম্মদ মতিউর রহমান ইউসুফ হোমনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নির্বাচিত জি এস এবং সফলতার সাথে হোমনা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতির দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে কুমিল্লা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

সম্প্রতি ফেসবুকে দেয়া এক আবেগঘন স্ট্যাটাসে এড.মতিউর রহমান ইউসুফ যা লিখেছেন তা হুবুহু তুলে ধরা হলো,

“ হায়রে রাজনীতি............. তুমি যদি সারাটা জীবন ও এই দলকে ভালোবেসে, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারন করে,দলের দুর্দিনে মিছিল মিটিংয়ে অংশ গ্রহন কর,রাজপথে থেকে সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে মামলা খাও, জীবনটাকে বাজি রেখে পিস্তলের নলের সামনে দলকে বাঁচা তে গুলি খাও,আহত হও, কোনো লাভ নেই?

এই দলের জন্য যারা নিবেদিত প্রান, আওয়ামীলীগ ও বঙ্গবন্ধু কে ভালোবেসে যারা দলের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা কোনদিন ও অবৈধ ভাবে টাকা ইনকাম করার ইচ্ছে পোষন করে নাই, যারা এই দলকে ভালোবাসতে গিয়ে নীতির কাছে আদর্শকে বিসর্জন দেয়নি বলে,চাকুরী থেকে বার বার পদবন্চিত হয়ে সচিব হয়ে পেনশনে আসতে পারেনি,ওনাদের কেউ মনে রাখেন না, ছাত্র রাজনীতিতে হোমনার কিংবদন্তি প্রায়াত মকুল ভাই, আরেক ছাত্রলীগের নিবেদিত প্রান ছিল, প্রায়াত মোকবুল এদের কেউ মনে ও করে না।

আমি আমার জীবনে দেখেছি সারটা জীবন যারা আওয়ামিলীগ এর বিরুদ্ধে, আওয়ামিলীগ এর লোকজনের বিরুদ্ধে, টাকা ডোনেশন করত, আজ তারাই যারা জীবনের মায়া ত্যাগ করে এই দলকে টিকিয়ে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে হায়েনার মত তাকিয়ে থাকে, আমাদের আওয়ামী লীগের কিছু নেতার সহযোগিতায়, এখন আপনার বলেন কি করার, মূল আওয়ামীলীগার বিরোধী দলের আমলে খেলো মামলা,আর যারা মামলা দিল তাদের ধারায় যদি এখন ও নির্যাতনের শিকার হয় তাহলে কেন মানুষ আদর্শ বুকে নিয়ে দল করবে?

রাজনীতি : এখন আর রাজনীতি বেশি দিন করা লাগে না যারা ছাত্রলীগের রাজনীতি করেন তাদেরকে কিছু কথা বলি,

 ১: কেউ যদি মনে করেন আপনি একেবারে ছাএলীগ থেকে শুরু করে এক সময় আওয়ামী লীগের বড় কোনো নেতা হবেন, সেইটা হলো আপনার জীবনের মারাত্মক ভূল ডিশিসন।

২: কেউ যদি একটি সংগঠনের সভাপতি অথবা সাধারণ সম্পাদক না হতে পারেন তাহলে আপনার আর এই দল করার যোগ্য তা নাই,কারন আপনার যতই যোগ্য তা থাকুক না কেন সেইখানে আপনার কোন মূল্যায়ন থাকবে না।।

৩: ফুলটাইম রাজনীতি না করে, কোন এক যোগ্য নেতার সাথে সখ্য গড়ে তোলা, ও ওনার আস্হাভাজন হওয়া তাহলেই আপনি রাজনীতি করেন নাহলে ভাই দয়া করে জীবন টাকে কাজে লাগান। বাবা মাকে আর কষ্ট দিবেন না।

 ৪: আপনি কখনো রাজপথে মিছিল মিটিংয়ে যাবেন না,কারন হল যারা আপনাকে বাঁশ দিয়ে পিটুনি দিছে, মাথা ফাটাইছে, দেখবেন আপনার দল ক্ষমতায় আসলে তারাই আাবার আপনার কোন দলের বড় নেতাকে, বড় ধরনের উপঢৌকন পাঠিয়ে, কাছাকাছি এসে আপনাকে আবারো ও বাঁশ দিচ্ছে তখন আপনার কেমন লাগবে একবার ভেবে দেখবেন?

৫: রাজনীতি কেন করবেন, রাজনীতি না করে টাকা ইনকাম করেন, দেখবেন সমাজের মধ্যে আপনাকে রাজনৈতিক নেতারা কি মূল্যায়ন করেন, আর সারাজীবন রাজনীতি করছেন কোন খোঁজ খবর নিবেনা কেউ টাকা না থাকলে? সমাজে টাকা থাকলে দেখবেন আপনাকে ওয়াজ মাহফিলেও প্রধান অতিথি হিসেবে দাওয়াত করবে। টাকা হালাল না হারাম সেইটা দেখার বিষয় না।

 

এই তিনটি গুন না থাকলে আপনি রাজনীতির পিছনে ১০০বছর সময় দিয়ে ও কোন লাভ হবে না, যদি থাকে তাহলে আপনার রাজনীতি তে নেতা হতে সময় লাগবে মাত্র ৬মাস থেকে এক বছর শুধু শুধু কেন আপনি সারটাজীবন সময় দিবেন রাজনীতি তে?

১:চামচামি।

২:টাকা

৩:বেয়াদব হতে হবে। কারন নেতা বললেই আপনাকে অন্যায় ভাবেই কাউকে না কাউকে থাপ্পড় মারতে হবে। বিঃদ্রঃ আমার লেখা যদি কারো মনে কষ্ট পান ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন”।

Bootstrap Image Preview