কলকাতা পুলিশ প্রচুর চেষ্টা করলেও পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না মাদক পাচারের ব্যবসা। এবার খেজুরের মধ্যে চরস ভরে চিনে পাচারের সময় ধরা পড়ল তিন জন। এছাড়া উদ্ধার হয়েছে চিনে যাওয়ার বিমানের টিকিট।
তাদের কাছ থেকে ২০ কেজি চরস বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার বাজারমূল্য কমপক্ষে ৮৫ লক্ষ টাকা। ধৃতদের নাম জাকির হোসেন, মাসুক আহমেদ ও প্রশান্ত দাস। রবিবার তাদের জোকার একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের সন্ধান করছেন তদন্তকারীরা।
কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরেই একসঙ্গে খেজুরের ব্যবসা করত ঠাকুরপুকুর বাসিন্দা জাকির ও প্রশান্ত। ব্যবসার প্রয়োজনে হরিদেবপুরে একটি ফ্ল্যাটও ও ভাড়া নিয়েছিল প্রশান্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের খেজুরের বড় ব্যবসাদার বলেও জানত।
কিছুদিন ধরে খবর পাওয়া যাচ্ছিল, খেজুরের ভিতরে চরস পুরে তারপর সেগুলি প্যাকেটবন্দি অবস্থায় চিনে পাচার করছে তারা। এই কাজে তাদের সহযোগী ছিল মোমিনপুরে বাসিন্দা মাসুক আহমেদ।
রবিবার গোপন সূত্রে খবর আসে জোকার জেনেক্স ভ্যালি কমপ্লেক্সের টি-১৪, ফ্ল্যাট নম্বর ২ হানা দেয় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। আর সেখান থেকে তিন মাদক পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি ৮৫ লক্ষ টাকার চরসও উদ্ধার করা হয়।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, কমদামে খেজুর কিনে ব্লেড বা সরু ছুরি দিয়ে কেটে বীজ বের করে নিত ধৃতরা। আর বীজের জায়গায় পুরে দেওয়া হত চরসের ছোট প্যাকেট। তারপর সেগুলি প্যাকেটবন্দি করে সুটকেসে পুরে পাঠিয়ে দেওয়া হত চিনে। সেখান থেকে খেজুরের সুটকেসগুলি চিনের বিভিন্ন জায়গায় থাকা মাদক পাচারকারীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হত।
রবিবার সুটকেসে প্যাকেটবন্দি খেজুর ঢোকানোর সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে ওই তিনজন। আজই তাদের প্লেনে করে চিনে যাওয়ার কথা ছিল।