বাংলাদেশকে এসএ গেমসে হ্যাট্টিক জয়ের স্বাদ দিল শান্ত-আফিফের ব্যাটিং
সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে হ্যাট্টিক জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ পুরুষ ক্রিকেট দল। যেখানে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেনের জোড়া হাফ- সেঞ্চুরি ।টুর্নামেন্টে টি-২০ ক্রিকেটের ফরম্যাটে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক নেপালকে ৪৪ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপকে ১০৯ রানে এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ভূটানকে ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩। যার নেতৃত্ব দেয় নাজমুল হোসেন শান্ত।
নেপালের কীর্তিপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেয় নেপাল।বাংলাদেশের দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও সৌম্য সরকার ব্যাট হাতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনিন । দু’জনই দলীয় ১৬ রানের মধ্যে বিদায় নেন। দুই ওপেনারের সাথে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন সাইফ হাসান। খালি হাতে ফিরেন তিনি। এই তিনজনকেই শিকার করেছেন নেপালের সাবেক অধিনায়ক পরশ খাড়কা। নাইম-সৌম্য-সাইফ দু’অংকের কোটা পেরোতে না পারলেও, ১৪ রান করে উইকেট পতনের তালিকায় নাম তুলেন পাঁচ নম্বরে নামা ইয়াসির আলি। ফলে ৫৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশকে চাপমুক্ত করে লড়াকু পুঁজি এনে দেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও আফিফ হোসেন। পঞ্চম উইকেটে ৯৪ রান যোগ করেন তারা। এতে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান পায় বাংলাদেশ। শান্ত ৪টি করে চার-ছক্কায় ৬০ বলে ৭৫ রান করেন। আফিফ ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৮ বলে ৫২ রান করেন। নেপালের খড়কা ১৫ রানে ৩ উইকেট নেন। লক্ষ্যটা তাদের কাছে অনেক বড় ।১৫৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে বিপদে পড়ে নেপালও। ১৪ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। খাড়কা ৯ রান করলেও অন্য দু’ব্যাটসম্যান শূন্য হাতে ফিরেন। পরের দিকের ব্যাটসম্যানরাও বাংলাদেশের বোলারদের সামনে অসহায় ছিলেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১১১ রানের বেশি করতে পারেনি নেপাল। নেপালকে লড়াইয়ে ফেরানোর চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক জ্ঞ্যানেন্দ্র মালা দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন তিনি। সুমন-তানভীর-সৌম্য-মেহেদি প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন।ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক শান্ত। লিগ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ শ্রীলংকার বিপক্ষে।