Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৮ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৫ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

না জানি আমার মেয়েকে কতো কষ্ট দিয়ে মেরেছে ওরা: রুম্পার মা

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:২৩ PM
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১০:২৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


রাজধানীর স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির নিহত শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের সদর উপজেলার বিজয়নগরে চলছে শোকের মাতম। এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তার মা-বাবা।

মেয়ের শোকে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা নাহিদা আক্তার পারুল। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, ওরা আমার মেয়েকে এমন অত্যাচার করেছে, আমার মেয়ের সুন্দর মুখটাই চিনতে পারিনি আমি। ও জরুরি কাজের কথা বলে বাইরে গেল, ফিরলো লাশ হয়ে। না জানি আমার মেয়েকে কতো কষ্ট দিয়ে মেরেছে ওরা। মরার সময় মেয়েটা কতোবার না জানি, ‘মা, মা’ বলে চিৎকার করেছে। আমার মেয়েকে কেনো মেরে ফেলা হলো। আমি বিচার চাই, বিচার চাই।

বাড়ির সামনেই পারিবারিক গোরস্থানে মেয়ের কবরের সামনে বসে অঝোরে কাঁদছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা বাবা মো. রুক্কুন উদ্দিন। তিনি বলেন, যার যায় সেই বোঝে। আমি মেয়ে হারাইনি, আমি আমার সর্বস্ব হারিয়েছি। কত কষ্ট করে মেয়েকে বড় করেছি। সামনে কত সুন্দর ভবিষ্যৎ ছিল ওর। অথচ তার আগেই ওকে পৃথিবী থেকে চলে যেতে হলো। এমন ঘটনার যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে- এজন্য আমরা এ ঘটনায় দ্রুত বিচার চাই।

বুধবার রাতে সিদ্ধেশ্বরী এলাকায় দুই ভবনের মাঝখানের গলি থেকে রুম্পার লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর লাশটি অজ্ঞাত হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়। পরিচয় না পাওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে রমনা থানায় মামলা করে। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রুম্পার স্বজনরা মর্গে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। লাশের ময়নাতদন্তে প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। পুলিশের ধারণা, তাকে ভবনের ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।

শুক্রবার সকালে রুম্পার লাশ গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের চরনিলক্ষীয়া ইউনিয়নের বিজয়নগরে নিয়ে আসা হয়। সেখানে সকাল ১০টায় জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাদী রুবিল খাতুনের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।

রুম্পার বাবা মো. রুক্কুন উদ্দিন হবিগঞ্জে একটি পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। মা নাহিদা আক্তার পারুল গৃহিনী। এক ভাই ও এক বোনের মধ্যে বড় রুম্পা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন।

Bootstrap Image Preview