Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ঝাড়ুদার দিয়ে চলে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:১৯ PM
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:১৯ PM

bdmorning Image Preview


হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালকে দালালমুক্ত রাখতে সচেতনতামূলক ব্যানার লাগিয়েছে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। এতে লেখা হয়েছে- ‘হাসপাতালে দালালমুক্ত পরিবেশে চিকিৎসা দিন, দালালের খপ্পরে পরে প্রতারিত হবেন না। দালাল সম্পর্কে তথ্য দিন পুলিশের সহযোগিতা নিন।’

তবে অনিয়ম, দুর্নীতি আর অব্যবস্থাপনা পিছু ছাড়ছে না হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাালের। এমপি-মন্ত্রীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কড়াকড়ি নির্দেশও যেন গায়ে লাগছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি এবার অভিযোগ উঠেছে পরিচ্ছন্ন কর্মী দিয়ে চিকিৎসা প্রদানে। যদিও এই কর্মকাণ্ড অনেক পুরনো বলে দাবি করেছেন অনেক রোগীরা। আবার বিষয়টি শিকারও করেছেন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের কয়েকজন স্টাফ।

অনেক রোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার সরেজমিনে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। সেখানে ইমার্জেন্সি বিভাগে পরিচ্ছন্নকর্মীরা রোগীদের সেলাই, ব্যান্ডেজ থেকে সব ধরনের কাজই করছেন পরিচ্ছন্নকর্মী কিশোর লাল ও আবুল হোসেন। এমনকি গার্ডের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি ও অফিস সহকারীরাও বিভিন্ন সময় প্রাথমিক চিকিৎসা করে থাকেন। আবার একই সুই দিয়ে একাধিক রোগীকে সেলাই করার অভিযোগও রয়েছে। এতে করে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে রোগীদের। বাড়ছে নিরাপত্তা ঝুঁকিও। অবশ্য সব অভিযোগের বিষয়টি শিকারও করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

তাদের দাবি, হাসপাতালের স্টাফ সংকট ও পর্যাপ্ত পরিমাণ চিকিৎসা সরঞ্জাম বরাদ্দ না থাকার কারণে এমনটা হচ্ছে।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ রোগীরা না জেনেই গার্ড ও ঝাড়ুদার দিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন রোগীরা।

এ ব্যাপারে চিকিৎসা নিতে আসা বানিয়াচং উপজেলার আড়িয়ামুকুর গ্রামের রাজন দাস বলেন, আমরাতো আর চিনি না যে কে ডাক্তার আর কে ঝাড়ুদার। যার কারণে আমরা তাদের দ্বারাই চিকিৎসা নিচ্ছি।’

সদর উপজেলার পইল গ্রামের আবুল কালাম বলেন, কোনো পরিচয়পত্র না থাকার কারণে কে পরিচ্ছন্নকর্মী আর কে চিকিৎসক তা বুঝতে পারি না। আবার অনেক সময় বুঝতে পারলে আমরা প্রতিবাদ করি। কিন্তু এতেও কর্ণপাত করে না কর্তৃপক্ষ।

তিনি বলেন, একই সুই দিয়ে একাধিক রোগীকে সেলাই দেয়া হয়। যা খুবই ঝুঁকিপুর্ণ। অথচ এভাবেই স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে দিনের পর দিন সাধারণ রোগীরা হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন।

এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক রতিন্দ্র চন্দ্র দেব বলেন, ইমার্জেন্সি বিভাগে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও ব্রাদার আছেন। সুতরাং ঝাড়ুদার দিয়ে চিকিৎসা দেয়ার কথা না। এছাড়া একই সুই দিয়ে সেলাই করলে কোনো সমস্যা হয় না বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, একজন রোগীকে সেলাই দেয়ার পর যদি সেটি ভালোভাবে পরিস্কার করা হয় তাহলে কোনো সমস্যা হয় না।

Bootstrap Image Preview