Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

রুম্পা হত্যার বিচারের দাবিতে রাস্তায় স্টামফোর্ড

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৩৮ PM
আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৪:৪০ PM

bdmorning Image Preview


স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

গেল ৪ ডিসেম্বর স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পাকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে ‘হত্যা’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোড আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনে দুই বাড়ির মধ্য থেকে ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিট। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানা যায় ওই লাশটি স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ছাত্রী রুম্পার।

শিক্ষার্থীদের দাবি, শারমিন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। কিন্তু ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও হত্যা রহস্যের কূলকিনারা করতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা। এ হত্যার সঙ্গে জড়িত যারা তাদের যেন দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়।

ধর্ষণের পর তাকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে কি না, এটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। তবে এটি একটি হত্যাকাণ্ড সেটি মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। তবে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, সেটি পুরোপুরি নিশ্চিত নয় পুলিশ।

মানববন্ধনে রুম্পার সহপাঠীরা বলেন, ‘আর যেন কোনও রুম্পাকে এভাবে প্রাণ দিতে না হয়। সেজন্য এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে জড়িতদের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলেই পরবর্তীতে আমি বা আমরা রক্ষা পাবো। নাহলে এরকম নির্মম হত্যা চলতেই থাকবে।’

মানববন্ধনে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ছাইফুল ইসলাম মাছুম বলেন, ‘শুরু থেকেই এই হত্যাকাণ্ড অন্য দিকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্য কোনও ইস্যুতে যেন রুম্পা হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা না পড়ে সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে।’

এ দিকে জানা গেছে, পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনিও করাতেন রুম্পা। সপরিবারে ২৫৫ শান্তিবাগে থাকতেন। এক ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি বড় ছিলেন। তার বাবা রোকনউদ্দিন হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক। রুম্পা দুইটি টিউশনি করে বুধবার সন্ধ্যায় বাসায় ফেরেন।

তিনি কাজ আছে বলে বাসা থেকে বের হন। বাসা থেকে নিচে নেমে তার ব্যবহৃত মুঠোফোন ও পরা স্যান্ডেল বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে এক জোড়া পুরোনো স্যান্ডেল পায়ে দিয়ে তিনি বেরিয়ে যান। কিন্তু রাতে আর বাসায় ফিরে আসেননি। স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও তার সন্ধান পাননি। বৃহস্পতিবার খবর পেয়ে রুম্পার মাসহ স্বজনেরা রমনা থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে তাকে শনাক্ত করেন। রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা নামে ওই ছাত্রী ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করতেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, বিকাল ৩টায় ঢামেক হাসপাতাল মর্গে ওই ছাত্রীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। লাশের শরীরের আঘাত দেখে মনে হয়েছে ওপর থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে।

মৃত্যুর আগে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে প্রতিবেদন পাওয়া গেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করে বলা যাবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Bootstrap Image Preview