Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পৃথিবীর অনেক দেশ ও জাতিগোষ্ঠির তুলনায় আমরা মেধাবী: তথ্যমন্ত্রী

চুয়েটে সুবর্ণজয়ন্তীতে তথ্যমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:১৭ PM
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৭:২০ PM

bdmorning Image Preview


বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের প্রকৌশলীদের অবদানের প্রশংসা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রকৌশলীরা যে শুধু দেশে মেধার স্বাক্ষর রেখেছে তা নয়, তারা সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে মেধার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে। গত অর্ধশতাব্দী ধরে চুয়েট যাদের প্রকৌশলী হিসেবে তৈরী করেছে, তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমৃদ্ধিতে ভূমিকার পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন দেশে সুরম্য অট্টালিকা ও অবকাঠামো নির্মাণে অবদান রেখে চলেছে।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগেরে সাধারন সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।

দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নে প্রকৌশলীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, 'বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপুরণের পথে বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত নয়, মধ্যম আয়ের দেশ। পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এদেশে মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ সর্বনিম্ন। এরপরও বাংলাদেশ আজকে পৃথিবীকে অবাক করে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। গত সাড়ে দশ বছরে পৃথিবীতে বাংলাদেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ। প্রকৌশলীদের অবদান ও ভুমিকা ব্যতিরেকে এই উন্নয়ন অগ্রগতি কখনো সম্ভবপর হতো না।'

তিনি বলেন, বৈশ্বিকভাবে আমরা বাঙালিরা হয়তো ধনী নই, কিন্তু আমরা মেধার দিক দিয়ে পৃথিবীর অনেক দেশ ও জাতি থেকে আমরা ধনী। পৃথিবীর অনেক দেশ ও জাতিগোষ্ঠির তুলনায় আমরা মেধাবী। ইউরোপের বাইরে প্রথম যিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান তিনি কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, গাছের প্রাণ প্রথম আবিস্কার করেন বাঙালি স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু। আজ থেকে বিশ বছর আগে পৃথিবীর সর্বোচ্চ ভবন শিকাগোর সিয়ার্স টাওয়ার এর স্থপতি বাঙালি ড. এফ আর খান। বর্তমানেও পৃথিবীর অনেক সুরম্য অট্টালিকা ও নানা স্থাপনা নির্মাণে যুক্ত আছেন বাংলাদেশ থেকে পাশ করা প্রকৌশলীরা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরের স্বপ্নের কথা বলেছেন। আমাদের সাম্মিলিত প্রচেষ্ঠা হবে দেশকে সেই স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানো শুধু নয়, দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও আত্মিকভাবে উন্নত জাতি গঠনের ক্ষেত্রেও স্বপ্নের ঠিকানাকে অতিক্রম করা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপে গত একশ' বছরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু সেখানে প্রতি একশটির মধ্যে পঞ্চাশটি ভেঙ্গে যাচ্ছে। ইউরোপের কোন মহাসড়কে যখন দুর্ঘটনা ঘটে পাশ দিয়ে শতশত গাড়ি চলে যায় কেউ একপলক তাকায় না। তাদের অনেক মেধাবী সন্তান-সন্ততিরা ভালো স্কুলে পড়ে, তারা অনেক ভালো শিক্ষা পায়, কিন্তু তারা যখন বড় হয় তখন মা-বাবাকে বয়স্ক পুনর্বাসন কেন্দ্রে দিয়ে দেয়।

ড. হাছান বলেন, আমরা উন্নয়ন চাই, তবে সমাজকে ইউরোপের মতো সেই জায়গায় নিয়ে যেতে চাইনা। ইউরোপে আজকে এগুলোই হচ্ছে মাথাব্যথা। মানুষ প্রচন্ড আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যাচ্ছে। শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবে। তার পরিবারকে নিয়েও ভাবেনা। এই আত্মকেন্দ্রিকতা আমাদের সমাজ যেন এই অন্ধ অনুকরণের দিকে অগ্রসর না হই এই লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করা প্রয়োজন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে পৃথিবীর উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রকৌশলীদের মেধা, দক্ষতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে কার্যকর ভুমিকা রাখতে হবে। এতে আমরা একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ পাবো।

Bootstrap Image Preview