Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

ক্ষমতা ধরে রাখতেই হেগে যাচ্ছেন সু চি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৬:১৩ PM
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৮:০৬ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


সবশেষ ২০১৬ সালে যখন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চি পশ্চিম ইউরোপ সফর করেছিলেন সে সময় তার হাতে ছিল গণতন্ত্রের পতাকা। কিন্তু মাত্র ৩ বছরের ব্যবধানে তিনি এবার সেখানে যাচ্ছেন মাথায় নিয়ে গণহত্যার অভিযোগ। অথচ এর আগে তার হাতে ছিল ‘গণতন্ত্রের পতাকা’। সু চি তখন অর্ধশতাব্দির স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার সাফল্যে উদ্বেল ছিলেন।

তবে সু চি আগামী সপ্তাহে পশ্চিম ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডসের হেগে যাচ্ছেন গণতন্ত্রের পতাকা হাতে নিয়ে নয়, বরং রোহিঙ্গা মুসলমানদের গণহত্যার অভিযোগ মাথায় নিয়ে। পশ্চিম আফ্রিকার ক্ষুদ্র দেশ গাম্বিয়া গত মাসে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গাদের গণহত্যা, নির্বিচার হত্যা ও ধর্ষণের অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল। ওই মামলার শুনানিতে নিজের দেশের হয়ে লড়বেন সু চি।

মিয়ানমার অবশ্য বরাবরই রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়ন ও গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। ১০ ডিসেম্বর হেগে অনুষ্ঠিতব্য শুনানিতে সু চি ‘জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় লড়ার জন্যই’ যাবেন বলে জানিয়েছে তার দপ্তর।

সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র মিও নায়ান্ত বলেন, ‘মিয়ানমারের মতের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতের অমিল রয়েছে। উত্তর রাখাইনে আসলেই কী ঘটেছে তা তিনি (সু চি) ব্যাখ্যা করবেন’।

মামলার শুনানিতে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে সু চি থাকায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী যোগাযোগ রয়েছে সু চির এমন অনেক ঘনিষ্ঠজন এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এতে করে বিদেশে সু চির ভাবমূর্তি আরো কালিমালিপ্ত হবে।

তবে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের চিত্রটি সম্পূর্ণ বিপরীত। গত সপ্তাহে সু চির সমর্থনে মিছিল হয়েছে দেশটিতে।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপে মিয়ানমারের পরামর্শক রিচার্ড হর্সে বলেন, ‘মিয়ানমারের অধিকাংশ লোক যে অভিযোগটিকে বিতর্কিত ও রাজনৈতিক প্রভাবিত বলে মনে করে তার বিরুদ্ধে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় তার সর্বোচ্চটা করা উচিৎ বলে মনে করেন সু চি’।

অবশ্য খোদ মিয়ানমারেরই অনেক ভিন্নমতাবলম্বী মনে করছেন স্রেফ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সু চি এটি করছেন। আগামী বছর মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে দেশটির সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সমর্থন ধরে রাখতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনার তোয়াক্কা না করেই সেনাবাহিনীর পক্ষে সাফাই গাইবেন সু চি।

গত সপ্তাহে সু চির হেগে যাওয়ার সমর্থনে মিছিল হয়েছে। আগামী সপ্তাহে আরো মিছিল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সু চির সাবেক মিত্র কো কো জিই বলেন, ‘এখন সারাদেশে মিছিল হচ্ছে। এটা তার ভাবমূর্তিকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা। বলা হচ্ছে-এর সবটাই রাজনীতি’।

Bootstrap Image Preview