Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

পণ্য পরিবহণে চালু হচ্ছে আধুনিক কৃষি ট্রেন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:৫২ PM
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:৫২ PM

bdmorning Image Preview


উৎপাদিত এলাকায় কৃষি পণ্যের যে দাম ঢাকায় বা দেশের অন্যান্য শহরে এলেই তার দাম দ্বিগুণ কোন কোন ক্ষেত্রে তিনগুণও হয়। এই বর্ধিত দামের কোন অংশই কৃষক পায় না। আবার উৎপাদনের এলাকায় ঠিকমতো পরিবহনের কারণেও প্রায় অর্ধেক ফসল নষ্ট হয়। এই সমস্যা সমাধানে এবার রেলওয়ে নিয়ে আসছে কৃষি ট্রেন।

কৃষি পণ্য উৎপাদিত হয় এমন এলাকাগুলো থেকে এই বিশেষ ট্রেন প্রতিদিন চলবে। রাতে ট্রেনটি রওনা দিয়ে সকালে চলে আসবে তেজগাঁও স্টেশানে। ট্রেনটি থামবে সেইসব স্টেশানে যেখানে আশেপাশেই কৃষিপণ্যের হাট রয়েছে। এই ট্রেনে শুধু একটি বা দুটি কামরা থাকবে যাত্রীবাহী। সেখানে পণ্যের ব্যবসায়ীরা থাকবেন।

এগ্রো প্রসেসর ইন্ডাস্ট্রির হিসাবে দেশে চাষিদের নিজের খাওয়া বাদ দিয়ে ৩০ হাজার কোটি টাকার কৃষিপণ্যের বাজার রয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ কৃষিপণ্য নষ্ট হয় পরিবহন ও ন্যায্য মূল্যে বাজারজাত করতে না পারার কারণে তারা বলেন, দেশে ৮ লাখ টন টমেটো উৎপাদন হয়। কিন্তু পরিবহন ও বাজারজাত করতে না পারার কারণে ২ লাখ টন টমেটো নষ্ট হয়।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি, আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ জানান, বিশ্বে ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলারের কৃষি পণ্যের বাজার রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ রপ্তানি করে মাত্র ৯০৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভিয়েতনাম ৩৫ বিলিয়ন ও থাইল্যান্ড ৪০ বিলিয়ন ডলারের কৃষিপ্যন রপ্তানি করে।

তিনি বলেন,  শুধুমাত্র গার্মেন্ট নির্ভরতা থেকে রপ্তানিকে বের করতে হলে প্রয়োজন রয়েছে সরকারের কৃষি পণ্যের বাজারজাত করার দিকে নজর দেয়ার। কৃষি ট্রেন চালু এই ক্ষেত্রে একটি ভাল উদ্যোগ। তাতে পণ্য পরিবহণে সুবিধা হবে পণ্যের মান ঠিক থাকবে। এটি আভ্যন্তরীণ চাহিদার ক্ষেত্রে যেমন কাজে দেবে তেমনিভাবে রপ্তানির ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন গতকাল জানান, গ্রসারি ট্রেনের কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের বলেছেন। আমরাও চিন্তা করছি একটি কৃষি ট্রেন চালু করার। এরজন্য আমরা কৃষি পণ্য পরিবহনযোগ্য রেল বগি কেনার চেষ্টা করছি। এই ট্রেনে হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল, ডিম, সবজি সবই পরিবহন করা হবে।

এরজন্য তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, পঞ্চগড় থেকে একটি কৃষিট্রেন বিকালে রওনা দিয়ে সকালে ঢাকায় আসবে। পথে নানা স্টেশান থেকে পণ্য তুলে নিবে। এভাবে কুমিল্লা থেকে একটি ট্রেন সন্ধায় রওনা দিয়ে সকালে ঢাকায় আসবে। পথে ভৈরব বা নংসিংদীর পণ্য ও নিয়ে আসবে।

এই ব্যবস্থা চালু হলে কৃষকরা পণ্যের ন্যায্য দাম পাবে। ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবে পণ্য পরিবহনে খরচ কমে যাওয়ার কারণে। আর পরিবহণে চাঁদাবাজির যে অভিযোগ রয়েছে ট্রেনের ক্ষেত্রে এটি সম্ভব হবে না। পণ্য দ্রুত পৌঁছবে। গ্রসারি ট্রেন হওয়ায় পণ্য নষ্টও কম হবে।

Bootstrap Image Preview