Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ মঙ্গলবার, মার্চ ২০২৪ | ৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

যুদ্ধে জড়াচ্ছে তুরস্ক এবং গ্রিস!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:০৭ AM
আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:০৭ AM

bdmorning Image Preview


যুদ্ধের জড়িয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি আছে তুরস্ক এবং গ্রিস। লিবিয়া উপকূলে তুরস্ক বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (ইইজেড) ঘোষণার পর এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন।

আলজাজিরা জানায়, ভূমধ্যসাগরে উপকূলে একটি বিশেষ অঞ্চল গড়ে তোলার দিকে এগোচ্ছে তুরস্ক ও লিবিয়া। ২৭ নভেম্বর দুই দেশের মধ্যে একটি গোপন চুক্তিও স্বাক্ষরিত হয়। বৃহস্পতিবার চুক্তির বিষয়টি প্রকাশ পায়।

এই চুক্তিতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে তুরস্ক ও লিবিয়া উপকূলে জলপথের একটি করিডর চিত্রিত হয়েছে, যেটির দাবিদার ইউরোপীয় ইউনিয়ন সদস্য গ্রিসও।

ইইজেড চুক্তিটি ভূমধ্যসাগরের ওই অঞ্চল থেকে খনিজ সম্পদ আহরণের জন্য তুরস্ক এবং লিবিয়াকে বিশেষ অধিকার দেবে। ইতিমধ্যে তুরস্কের জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে, অঞ্চলটিতে তেল ও গ্যাসের অনুসন্ধান করার প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশটি।

এদিকে তুরস্ক-লিবিয়ার এমন চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় ভূমধ্যসাগরের বিতর্কিত অঞ্চল দক্ষিণ-পূর্ব ক্রিটে নৌবাহিনী পাঠিয়েছে গ্রিস। গ্রিসের নৌবাহিনী হেলেনিক নেভি বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি। তবে দুই বিশেষজ্ঞ বিষয়টি আলজাজিরাকে নিশ্চিত করেছেন।

গ্রিসের একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক নাম প্রকাশ না শর্তে বলেন, ভূমধ্যসাগরে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে তুরস্কের কোনো ড্রিলশিপ দেখা গেলেই আমাদের নৌবাহিনীর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। যেটি মূলত দুই দেশকে একটি যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাবে।

আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর অ্যাঞ্জেলোস সিরিগোসও নিশ্চিত করেন, সমুদ্রে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানে তুরস্ককে প্রতিরোধ করতে গ্রিসের নৌবাহিনী বিতর্কিত অঞ্চলটিতে অবস্থান নিয়েছে।

গ্রিসের ক্ষমতাসীন নিউ ডেমোক্রেসি পার্টির এই এমপি বলেন, তুরস্কের কোনো অনুসন্ধান কাজ চলবে না। আঙ্কারাকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এটি গ্রিস বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল। এখানে তুরস্কের কোনো ধরনের অনুসন্ধান সহ্য করা হবে না।

Bootstrap Image Preview