পেঁয়াজ ও চাল থেকে শুরু করে প্রায় সব সবজির দাম চড়া। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। গত সপ্তাহে বাড়তির দিকে ছিল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, ভাটারা, বাড্ডা, শান্তিনগর, নিউমার্কেট, জিগাতলা ও সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজের বাজার অপরিবর্তিত থাকলেও প্রকারভেদে প্রতি কেজি চালের দাম ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সামনে চালের দাম আরও বাড়বে।
পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে, দেশি পেঁয়াজের কেজি ২৫০ টাকা, মিশরের পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, তুরস্কের পেঁয়াজ ১২০ টাকা এবং মিয়ানমারের পেঁয়াজের কেজি ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাতাসহ নতুন পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। চীনের প্রতি কেজি রসুন ১৫০ টাকা, দেশি ১৯০ টাকা, এক দানা ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চাল বিক্রি হচ্ছে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পাইজাম চাল ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গতকালকের তুলনায় আড়াই টাকা বেশি। নাজিরশাইল চাল প্রতি কেজি ৫৫ টাকা। যা গত দিনের তুলনায় ২ টাকা বেশি। উনত্রিশ চাল কেজি প্রতি ৩৮ টাকা। যা গত দিনের তুলনায় ২ টাকা বেশি। মিনিকেট প্রতি কেজি ৫০ টাকা। যা গত দিনের তুলনায় ৫ টাকা বেশি। পোলার চাল প্রতি কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
সবজি বিক্রি হচ্ছে, ছোট মিষ্টি কুমড়ার প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, লাউ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতি পিস ৪০ টাকা, লতি কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, নতুন আলুর কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পুরনো আলু ২৫ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পেপে ২৫ থেকে ৩০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, গাজর ৪০ থেকে ৫০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঢেড়স ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, ঝিঙা ৭০ থেকে ৮০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ধনিয়া পাতা ৮০ টাকা, টমেটো ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি আঁটি মুলা শাক ১০ টাকা, লাল শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ২০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও মাংস বিক্রি হচ্ছে, গরুর মাংস কেজি প্রতি ৫৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে , খাসি ৮০০ টাকা, বকরির মাংস ৭৫০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা, লেয়ার ২০০ টাকা, পাকিস্তানি ২৪০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ডিমের হালি ৩২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বিক্রি হচ্ছে, রুই মাছ কেজি প্রতি ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, ইলিশ ৮০০ টাকা, পাবদা ৪০০ টাকা, কাতলা ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ টাকা, চিংড়ি ৫৫০ টাকা, শোল মাছ ৬০০ টাকা ও শিং ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হচছার
সব কিছুর চড়া দামের কারণে অনেক ক্রেতা সরকারের বাজার সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, দ্রুত নিত্যপণ্যের বাজারে লাগাম টানতে না পারলে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি আরও বাড়বে।