Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১১ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিএনপির সভাপতি থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:২৩ PM
আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৫:২৩ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি থেকে আওয়ামী লীগের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদ পেয়েছেন মো. নেদা মন্ডল নামে এক নেতা।

বিএনপির সভাপতি রাতারাতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়ায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঝে বইছে সমালোচনার ঝড়।

ইসলামপুর উপজেলার চরপুটিমারি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. মজদুল আকন্দ সাক্ষরিত অভিযোগে জানা যায়, মো. নেদা মন্ডল ওই ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদে এখনো বহাল আছেন। বিএনপির সভাপতির পদে থেকেই গত ২৯ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের শাখা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে মো. নেদা মন্ডল ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হন। কাউন্সিল শেষে বিএনপির সভাপতি নেদা মন্ডলের নাম ঘোষণা করা হয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে। কাউন্সিলে দুর্নীতির মাধ্যমে এমনটি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখতে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা মো. মজদুল আকন্দ জানান, যে ব্যক্তি বিএনপি-জামাত জোট সরকারের শাসনামলে আওয়ামী পরিবারগুলোর ওপর পাশবিক নির্যাতনসহ নানাভাবে হয়রানি করা নেদা মন্ডলকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। যারা জেল জুলুম হুলিয়া মাথায় নিয়ে পালিয়ে থাকতে হয়েছে, নানা নির্যাতনের শিকার হয়েছে এসব ত্যাগী ও পরিক্ষিত নেতাদের বাদ দেয়া হয়েছে। নতুন কমিটিতে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের স্থান দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সভাপতি থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ পাওয়া নেদা মন্ডল বলেন, এইসব ছোটখাটো বিষয়ে নিউজ করে কি করবেন। আওয়ামী লীগ বড় দল। বর্তমানে ক্ষমতায় আছে। আমি শুরু থেকেই বিএনপিতে ছিলাম। ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির দায়িত্বেও ছিলাম। একবছর আগে ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করি। এখন আমি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

দলে অনুপ্রবেশকারী নেদা মন্ডল কীভাবে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন- এমন প্রশ্নে চরপুটিমারি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সামছুজ্জামান সুরুজ মাস্টার জানান, নেদা মন্ডল খুব ভালো লোক। সৎ লোক। তাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়ায় আওয়ামী লীগ চাঙ্গা হয়েছে। আমাদের অনেক উপকার হয়েছে। সে আমাদের সাথেই থাকে। তাকে ডাকলেই পাওয়া যায়। আমি বা আমরা কোন টাকার বিনিময়ে কমিটি অনুমোদন করিনি। তিনি বলেন, তিনি বিএনপিতে ছিলেন শুরু থেকেই। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুই মাস আগে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের ভোট বৃদ্ধির জন্যই এই পদে চেয়েছিলাম। এখন আওয়ামী লীগের পক্ষেই কাজ করেন।

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, এটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী। অন্য কোন দল থেকে এসে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদ সহসাই পাওয়ার কোন সুযোগ নাই। জেলা আওয়ামী লীগের পরবর্তী সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

Bootstrap Image Preview