Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

টাকা নিয়েও এক ছাত্রের সমাবর্তন আটকে দিলো রাবি প্রশাসন

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৩১ PM
আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ১০:৩১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


নিয়ম অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) একাদশ সমাবর্তনে নিবন্ধন করেছেন। সমাবর্তনে আসার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগের দিন খুদেবার্তা পেয়েছেন। সুবিনিয়রেও ছবিসহ নাম এসেছে। কিন্তু সব কার্যক্রম শেষ করার পর গ্রাজুয়েটের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে শেষ মুহূর্তে সমাবর্তন আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে।

ওই গ্রাজুয়েটের নাম মো. জাকির হোসেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০১০-১১ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে ঢাকায় একটি গণমাধ্যমে সহসম্পাদক হিসেবে আছেন।

রাবির একাদশ সমাবর্তন আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জাকির গতকাল শুক্রবার সমাবর্তনে অংশ নেওয়ার জন্য ছুটি নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছেন। পরে বিকেলে নিজ বিভাগে গাউন ও সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেন সেখানে তার নাম নেই। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গিয়েও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও কারণ জানতে পারেননি তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এম এ বারী বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ রয়েছে কিনা, সেটা তাকেই জিজ্ঞাসা করেন।’

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গ্রাজুয়েট জাকির হোসেন জানান, তিনিও জানেন না তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জাকির হোসেন বলেন, ‘বিকেলে ক্যাম্পাসে এসে জানার পর পরই রেজিস্ট্রারের দপ্তরে যাই। রেজিস্ট্রার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে যেতে বলেন। পরে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, প্রক্টর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। তিনি প্রক্টরের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন।’

তিনি বলেন, ‘সঙ্গে সঙ্গে প্রক্টরকে ফোন দেই এ বিষয়ে জানার জন্য। কিন্তু প্রক্টর আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনেননি বলে জানান।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমি এ ধরনের কোনো অভিযোগ কারও বিরুদ্ধে আনিনি। আমি তার সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ছিলাম না। আগের প্রক্টর কোনো অভিযোগ এনেছিলেন কি না তা বলতে পারব না।‘

জাকিরের ধারণা, সম্প্রতি তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সহ-উপাচার্যের ফোনালাপের সংবাদসহ কয়েকটি অনিয়ম নিয়ে সংবাদ করেছেন। সেগুলোর কারণে হয়তো তাকে সমাবর্তনে অংশ নিতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু একজন গ্রাজুয়েটের সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করার অধিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নেই।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. বাবুল ইসলাম বলেন, ‘গত প্রশাসনের সময় জাকির হোসেনের সঙ্গে হল প্রাধ্যক্ষের একটা ঝামেলা হয়েছিল। সেই সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য তাকে আগেই অবগত করা হয়েছে। সেই সমস্যা সমাধান হয়নি বলেই তিনি নিবন্ধন করার পরও সমাবর্তনের সুযোগ পাচ্ছেন না।’

এ বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাকে এ বিষয়ে আগে জানানো হয়নি। আর গত প্রশাসনের যদি কোনো অভিযোগ থেকে থাকে, তাহলে তখন আমি কীভাবে হল প্রাধ্যক্ষের মাধ্যমে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের প্রভিশনাল সার্টিফিকেট তুললাম? আসলে প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে নিউজ করেছি বলেই তারা আমাকে সমাবর্তন করতে দিচ্ছেন না।’

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Bootstrap Image Preview