Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের আহ্বান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৩৫ PM
আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৯, ১২:৫১ PM

bdmorning Image Preview


কক্সবাজারসহ দেশের পর্যটন শিল্প ও পরিবেশ রক্ষার্থে সরকারের নেয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ।

কক্সবাজারের মাত্র ২৫ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ১৭ হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক ১৫টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা দেখেছি কক্সবাজারে বিশ্বের সর্ববৃহৎ কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ক্ষতির সম্ভাবনাগুলো কতটা বাস্তব ও অবশ্যম্ভাবী। এতে দেশের পর্যটন রাজধানী কক্সবাজার ধ্বংস হয়ে যাবে।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বিশ্বের সর্ববৃহৎ কয়লা বিদ্যুত প্রকল্প বন্ধ করে নবায়ন যোগ্য জ্বালানির দিকে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

পর্যটন নগরী কক্সবাজার রক্ষার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, এক সময় আমরা কক্সবাজারকে বিশ্বের শীর্ষ প্রাকৃতিক স্থান হিসেবে স্বীকৃতির জন্য ক্যাম্পেইন করেছি। এখন আমরাই আবার কক্সবাজারকে ধ্বংস করছি। আর দেশের সম্পদ রক্ষা করতে না পারার জন্য ঐতিহাসিকভাবে দায়বদ্ধ থাকতে হবে। কক্সবাজার যদি না বাঁচে তাহলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

আমরা সচেতন নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্বে পরিবেশদূষণকারী দেশের শীর্ষে দেখতে চাই না। বাপা’র সভাপতি মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামালের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাপা’র নির্বাহী সহ-সভাপতি ডা. মো. আবদুল মতিন, যুগ্ম সম্পাদক শারমিন মুরশিদ, বাপা’র কক্সবাজার শাখার সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী, মহেশখালী শাখার সেক্রেটারি আবু বক্কর সিদ্দিক প্রমুখ।

সুলতানা কামাল বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় থাকলেও ক্রমশ বাংলাদেশ দূষণকারী দেশ হিসেবে শীর্ষে চলে যাবে। তিনি বলেন, দেশের যে সম্পদগুলো রক্ষা করার জন্য সাধারণ নাগরিক থেকে সরকারের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ থাকার কথা, সেই সম্পদ ধ্বংস করার জন্য আমাদের সরকার উঠেপড়ে লেগেছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল। তিনি বলেন, সারাদেশে যতগুলো কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার অর্ধেকই কক্সবাজার অঞ্চলে। তিনি বলেন, কক্সবাজার কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের অবস্থানগুলো হবে বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে। এছাড়াও এখানে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বন-জঙ্গল ও বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য এবং সংরক্ষিত এলাকা। ১৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ১৩টি স্থাপন করা হবে বন্যাপ্রবণ মাতারবাড়ি মহেশখালী দ্বীপের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হলে, ২০৩১ সাল নাগাদ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে প্রতি বছর ৭২ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে। হাজার হাজার টন বিষাক্ত পারদ, নাইট্রোজেন অক্সাইড, সালফার অক্সাইড, কয়লাজাত ছাই ও কণা দূষণে এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে হবে। দূষণের কারণে দেশের প্রধান পর্যটন অঞ্চল হিসেবে কক্সবাজারের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে।

Bootstrap Image Preview