Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

মাদক মামলায় জেলে স্বামী, পরকীয়ায় জড়িয়ে প্রাণ গেল স্ত্রীর!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৯, ১০:১৭ PM
আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯, ১০:১৭ PM

bdmorning Image Preview


মাদকাসক্ত স্বামীকে অনেক চেষ্টা করেও সুপথে ফেরাতে পারেননি চাঁদনী বেগম (২০)। ফলে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তার। ধীরে ধীরে জনি (৩০) নামে এলাকার এক যুবকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন পরকীয়ায়।

এরপর এক মামলায় গ্রেফতার হয়ে মাসখানেক যাবত স্বামী কারাগারে থাকায় প্রেমিকের সঙ্গে অবৈধ মেলামেশা আরও বেড়ে যায়। প্রায় প্রতিদিনই জনি তার বাসায় রাত কাটাতো। সেই অবৈধ সম্পর্কের জেরে শেষ পর্যন্ত প্রাণ দিতে হয়েছে তাকে। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন চাঁদনী।

আজ (শুক্রবার) সকালে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় তার মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে প্রেমিক জনি মিয়ার (৩০) বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, চাঁদনী বেগমের স্বামীর নাম মো. মোস্তাকিন (২৫)। বাসা শহরের ঘোড়াকান্দা এলাকায়। ৫ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। এই দম্পতির একটি শিশু সন্তান রয়েছে। একটি মামলায় গত একমাস যাবত জেলা কারাগারে বন্দি আছেন।

অপরদিকে তার প্রেমিকের নাম জনি মিয়া (৩০), বাসা শহরের ভৈরবপুর দক্ষিণপাড়া এলাকায়।

জানা গেছে, বিয়ের পর চাঁদনী জানতে পারেন তার স্বামী মাদক সেবনসহ মাদক, ব্যবসা এবং নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। অনেক চেষ্টা করেও তাকে (স্বামী) ফেরাতে পারেননি। মাস খানেক আগে এক মামলায় পুলিশ মোস্তাকিনকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠায়।

এদিকে স্বামীর এসব কর্মকাণ্ডে বিরক্ত ও জ্বালাতন সইতে না পেরে এব পর্যায়ে জনি নামে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে চাঁদনীর। স্বামীর সংসার করলেও অনেকদিন ধরে ওই যুবকের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক ও মেলামেশা অব্যাহত ছিল। স্বামী জেলে গেলে সেই সুযোগে জনি তার বাসায় প্রায়ই রাত কাটায়। বৃহস্পতিবার রাতেও সে চাঁদনীর বাসায় ছিল।

প্রতিবেশীরা জানান, গভীর রাতে কোনো বিষয় নিয়ে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া হয়। রাত তিনটার দিকেও তাদের ঝগড়ার আওয়াজ পান প্রতিবেশীরা। এরপর ভোরে তার রুমের দরজা খোলা দেখতে পান এক প্রতিবেশী। এ সময় তাকিয়ে দেখেন চাঁদনী ঘরের চালার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। এরপর তিনি আশপাশের লোকজনকে খবর দিয়ে তার মাকেও তা জানায়। পরে থানায় জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তার মরদেহ উদ্ধার করে।

মা মর্জিনা বেগম জানান, তাদের অবৈধ সম্পর্কের কথা আমি জানতাম না। একই এলাকায় আমাদের বাসা। প্রতিবেশীরা জানিয়েছিল জনি প্রায়ই তার বাসায় আসে। তবে রাতে ওই বাসায় থাকে তা জানতাম না। তার সন্দেহ জনি তাকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে পালিয়ে গেছে। এ কারণে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে।

ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার জানান, পুলিশ গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি হত্যা না আত্মহত্যা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে জানা যাবে। তার মা হত্যা মামালা করেছেন। ঘটনা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Bootstrap Image Preview