Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

গোপনে পরমাণু অস্ত্র বাড়াচ্ছে পাকিস্তান

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:০৫ PM
আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৯, ০৯:০৫ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের ডেরা গাজি খান শহরের পরিত্যক্ত এলাকায় ঘেরা কম্পাউন্ডে দেশটি গোপনে পরমাণু অস্ত্র বানাচ্ছে বলে দাবি করেছে ভারতের গোয়েন্দারা।

সম্প্রতি উপগ্রহের পাঠানো ছবিও তারই প্রমাণ দিয়েছে বলে দাবি ভারতের। তথ্যসূত্র বলছে, গত ৯ মাসে ডেরা গাজি এলাকার ওই বিশাল কম্পাউন্ড অনেকটাই প্রশস্ত হয়েছে। আর ওই কম্পাউন্ডের উত্তর দিকের অংশে টন টন প্লুটোনিয়াম, ইউরেনিয়াম সরবরাহ হচ্ছে। ভারতীয় অনলাইন পত্রিকা দ্য প্রিন্ট এ খবর দিয়েছে।

পাকিস্তান বরাবরই দাবি করে আসছে, ডেরা গাজি খানের ওই এলাকা পরিত্যক্ত। সেখানে পরমাণু অস্ত্র তৈরির কোনো পরিকাঠামোই নেই। ২০০৯ সালে মার্কিন থিংকট্যাংক ইন্সটিটিউট ফর সায়েন্স ইন ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি (আইএসআইএস) জানায়, পাকিস্তানের এ দাবি মিথ্যা। ডেরা গাজিতে লুকিয়ে পরমাণু অস্ত্র তৈরির কাজ চালাচ্ছে পাকিস্তান। গত বছর সিএনএস (জেমস মার্টিন সেন্টার ফর ননপ্রলিফারেশন স্টাডিজ) সূত্রেও একই দাবি করা হয়। সিএনএস জানায়, ডেরা গাজি খান এখন পাকিস্তানের অন্যতম পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ওই কম্পাউন্ডের উত্তরাংশ শুধুই নয়, দক্ষিণাংশও আগের তুলনায় অনেকটাই বিস্তৃত হয়েছে। সেখানে পাহারাও অনেক মজবুত।

উপগ্রহের পাঠানো অক্টোবরের ছবিতে এটা স্পষ্ট ডেরা গাজি আর নিষ্ক্রিয় নয়। বিশাল ঘেরা এলাকায় অনেক ছোট ছোট কারখানা গজিয়ে উঠেছে। কাছাকাছি বাঘাল চরের খনি থেকে টন টন ইউরেনিয়াম এসে পৌঁছাচ্ছে সেখানে। সিএনএসের রিপোর্ট বলছে, ওই কম্পাউন্ডের উত্তর দিকের কারখানাগুলোতে ইউরেনিয়াম থেকে ইউরেনিয়াম ডাই-অক্সাইড, ইউরেনিয়াম হেক্সাফ্লুওরাইড (ইউএফ৬) তৈরি হচ্ছে। পরে সেগুলোকে চুলি­তে পাঠিয়ে পরমাণু অস্ত্রের উপযুক্ত আইসোটোপ তৈরি করা হয়। ডেরা গাজিতে ইউরেনিয়াম কেন পাঠানো হচ্ছে তার যথোপযুক্ত কোনো জবাব পাকিস্তান দিতে পারেনি।

সিএনএসের রিপোর্ট আরও বলছে, বেলুচিস্তান ও সিন্ধু প্রদেশের পাহাড়ি এলাকার বহু গোপন সুড়ঙ্গ অস্ত্র মজুদের বড় ঘাঁটি হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ একই সঙ্গে অস্ত্র তৈরি এবং অস্ত্র মজুদের কাজ চলছে। সংরক্ষণ করে রাখা হচ্ছে খনি থেকে আসা কাঁচামাল। গত কয়েক মাসে নতুন চারটি পুকুর খনন করা হয়েছে ডেরা গাজির কম্পাউন্ডে। আগের পরিত্যক্ত পুকুরগুলো ভরে উঠেছে কোনো রাসায়নিক তরলে। ৭০-৯০ শতাংশ বেড়েছে ইউরেনিয়ামের ক্রিয়াশীলতা। জুনের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, কয়েকটি গাড়ি নিয়মিত আনাগোনা করে কম্পাউন্ডের ভেতরে। গত ৪ মাসে পরিত্যক্ত বর্জ্য জমা করার কয়েকটি জায়গা তৈরি হয়েছে। কম্পাউন্ডের পূর্বে ও পশ্চিমে বড় দেয়াল তুলে ঘিরে দেয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview