টানা অষ্টমবারের মতো শীর্ষ দেশ ফ্রান্স

টানা অষ্টমবারের মতো শীর্ষ দেশ হয়েছে ফ্রান্স, নাগরিকদের প্রত্যাশিত কল্যাণ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, জীবন সম্ভাবনা এবং বিশ্ব ভ্রমণের সুযোগের বিবেচনা করে। ক্যালিন এবং কোচেনভ এর বিশ্বব্যাপী জাতীয়তার মানের সূচক (কোয়ালিটি অব ন্যাশনালিটি ইনডেক্স- কিউএনআই) এর সর্বশেষ অনুসন্ধানে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এই বছর ফ্রান্স সম্ভাব্য ১০০ শতাংশের মধ্যে ৮৩.৫ শতাংশ পয়েন্ট অর্জন করে টানা অষ্টমবার শীর্ষ স্থানে রয়েছে ইউরোপের ওই দেশটি। সূচকে ফ্রান্সের পরেই ৮২.৮ শতাংশ নিয়ে যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জার্মানি ও নেদারল্যান্ডস।

সূচকে জাতীয়তার বাহ্যিক মূল্য এবং দেশের বাইরে নাগরিকদের দেয়া সুযোগ-সুবিধা কতটা প্রভাব রাখে তাও দেখা হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের আইন বিষয়ক অধ্যাপক ও গবেষক অধ্যাপক ড.দিমিত্রি কোচেনভ এবং সুইডেনের আইনজীবী ডা. ক্রিশ্চিয়ান এইচ ক্যালিনের সঙ্কলিত গবেষণা অনুসারে, ‘শক্তভাবে ব্রেক্সিট’ অনুসরণ করায় যুক্তরাজ্য আগের অবস্থান হারাতে বসেছে।

শীর্ষ দশ দেশের তালিকায় ৮১.৭ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ডেনমার্ক। সূচকে ৮১.৫ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছে নরওয়ে ও সুইডেন। পঞ্চম স্থানে আইসল্যান্ড (৮১.৪ শতাংশ), ষষ্ঠ স্থানে ফিনল্যান্ড (৮১.২ শতাংশ), সপ্তম স্থানে ইতালি (৮০.৭শতাংশ), অষ্টম স্থানে যুক্তরাজ্য (৮০.৩ শতাংশ), নবম স্থানে আয়ারল্যান্ড (৮০.২ শতাংশ) এবং দশম স্থানে রয়েছে স্পেন (৮০.০ শতাংশ)।

সূচকে গতবছরের চেয়ে চার স্থান এগিয়ে চীনের অবস্থান ৫৬তম। দুই ধাপ এগিয়ে রাশিয়ার অবস্থান ৬২ তম স্থানে রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ৪২ তম স্থান অর্জন করে তাদের সর্বোচ্চ র‍্যাংক অর্জন করেছে।

এই বছরের কিউএনআই-এর নিচে তিনটি দেশ হ’ল ১৫.৯ স্কোর নিয়ে দক্ষিণ সুদান ১৫৭তম , ১৫.৪ স্কোর নিয়ে আফগানিস্তান ১৫৮ তম এবং ১৩.৮ স্কোর নিয়ে সোমালিয়া ১৫৯ তম দেশ নির্বাচিত হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ (৯৩), এরপরেই রয়েছে ভারত (৯৫)। ১৩৭ তম অবস্থানে থাকা বাংলাদেশের স্কোর ২৩.৬ শতাংশ। বাংলাদেশের আগে রয়েছে ভুটান (১১৭), আর পরে রয়েছে নেপাল (১৪০) আর পেছনে পাকিস্তান (১৫০)।