বরিশালে বাসররাতে স্ত্রীর অন্তঃসত্ত্বার খবর জানতে পেরে স্বামী-স্ত্রীর পরিবারের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে জানা যায়, স্ত্রীর অন্তঃসত্ত্বার পিছনে খোদ বিয়ের ঘটকই দায়ী।
বুধবার (২০ নভেম্বর) সকালে মেয়ের বাবা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান। ধর্ষণের অভিযোগে ওই বিয়ের ঘটক ৭০ বছরের বৃদ্ধ কাঞ্চন আলী হাওলাদাকে আটক করা হয়েছে।
ঐ দিন সকালেই নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। আটক কাঞ্চন বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের বকশিচর এলাকার বাসিন্দা।
জানা যায়, নিজ এলাকায় তিনি ঝাড়-ফুঁকের (ওঝা) কাজ করেন। এ ঘটনায় বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই কিশোরী।
অভিযোগকারী কিশোরীর বাবা জানান, কয় মাস আগে তার মেয়ের আচরণে পরিবর্তন দেখে বকশিচর গ্রামের ওঝা কাঞ্চন হাওলাদারের কাছে নিয়ে যান তারা। তার অভিযোগ, গোপন সমস্যার চিকিৎসা করানোর নামে ওই ওঝা তার মেয়েকে কৌশলে ধর্ষণ করেন। যার ফলে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
পরবর্তীতে, ঘটনাটি জানাজানি হলে ভণ্ড ওঝা কাঞ্চন নিজেই ঘটক হয়ে গত শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) পাঁচপাশা ইউনিয়নের বেপারিবাড়ির ছেলের সঙ্গে ঐ কিশোরীর বিয়ে ঠিক করেন। বিয়ের পরে বাসররাতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ে এবং ছেলের পরিবারের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ বিন আলম বলেন, খবর পেয়ে ধর্ষণের অভিযোগে কাঞ্চন হাওলাদার নামে এক বৃদ্ধকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি জানান, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।