Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৮ বৃহস্পতিবার, মার্চ ২০২৪ | ১৪ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

জুনিয়র কর্মীকে ‘হাঁটা’ শেখাতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়াল ইবি ছাত্রলীগ!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:২৭ PM
আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৯, ০৫:২৮ PM

bdmorning Image Preview


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে জুনিয়র কর্মীকে ‘হাঁটা’ শেখাতে গিয়ে শাখা ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন বলে জানা গেছে। আহতদের মধ্যে সাতজনকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

পরে ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতারা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ প্রায় আধঘণ্টা চেষ্টার পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এ ঘটনার পর থেকে ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আবাসিক হলগুলোর সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, সংঘর্ষে জড়ানো কর্মীরা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত গ্রুপের মধ্যে দুটি উপ-গ্রুপের। এ উপ-গ্রুপ দুটির নেতৃত্বে রয়েছে দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শাহজালাল সোহাগ এবং ইংরেজি বিভাগের ফজলে হাসান রাব্বি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জিয়া হল মোড় দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন জুনিয়র ছাত্রলীগ কর্মী এবং আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিজভী আহমেদ ওশান। এ সময় তাকে ডেকে হাঁটাচলা ভালো নয় জানিয়ে ভালোভাবে হাঁটতে বলেন সিনিয়র ছাত্রলীগ কর্মী লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ঝিনুক, আলাল ইবনে জয় এবং চঞ্চু চাকামা। এতে ওশান ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে বলে অভিযোগ তুলে তাকে চড়-থাপ্পড় মারে সিনিয়ররা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাঠিসোটা, রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কয়েক দফা সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে শাহজালাল ইসলাম সোহাগ, বাঁধন, আলাল ইবনে জয়, স্বাধীন, সালমানসহ সাতজনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এদিকে চিকিৎসা নিতে গিয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রেও আরেক দফা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা।

আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক খুরশিদা জাহান। তবে আহতদের কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘বিষয়টি শোনা মাত্রই আমি ঘটনাস্থলে ছুটি যাই। উভয় গ্রুপকে নিজ নিজ হলে পাঠিয়ে দিয়েছি। গভীর রাত পর্যন্ত আমরা ক্যাম্পাসে থাকবো। আশা করছি, নতুন করে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হবে না।’

Bootstrap Image Preview