Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

প্রয়োজন ছাড়া সিজার, ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নারীর রিট

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৯, ০২:৫৬ PM
আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৯, ০২:৫৬ PM

bdmorning Image Preview


প্রয়োজন ছাড়া এক প্রসূতি নারীকে অস্ত্রোপচার (সিজার) করে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে একটি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে ২৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী নারীর পক্ষে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন। আগামী রবিবার রিট আবেদনটি শুনানির জন্য হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।

রিটে স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ওই বেসরকারি হাসপাতালসহ ৯ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

ভুক্তোভোগী ওই নারীর নাম রিমা সুলতানা নিপা। তিনি লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানার গোরারবাগ গ্রামের জামাল হোসেন বিপুর মেয়ে। 

আইনজীবী জে আর খান রবিন সাংবাদিকদের জানান, রিমা সুলতানা নিপা গত ৮ জুন সন্তান প্রসবজনিত বেদনা নিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন জানায়, রোগীর অস্ত্রোপচার বাধ্যতামূলক। ৯ জুন চিকিৎসকের পরামর্শে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। যদিও আলট্রাসনোগ্রাম প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রসূতির জটিলতা ছিল না, এমনকি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল না। অস্ত্রোপচারের পর ১২ জুন প্রসূতিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু শারীরিক অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়লে ১৪ জুন আবার একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার সেলাইয়ের জায়গায় ক্ষত দেখা দেয়।’

তিনি বলেন, চিকিৎসকেরা সেলাইতে ক্ষতের বিষয়টি স্বীকার করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তারকে বিষয়টি জানানো হলে তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। এরপর প্রসূতির পিতার অনুরোধে অন্য হাসপাতালের দু'জন চিকিৎসককে নিয়ে আসেন। ওই চিকিৎসকরা প্রসূতিকে অবস্হা খুবই আশঙ্কাজনক বিবেচনায় রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন।

আইনজীবী জে আর খাঁন রবিন আরও জানান, রাজধানীর ওই হাসপাতালে দ্বিতীয় দফায় অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হন প্রসূতি। এ হাসপাতালের চিকিৎকরা সুপারিশে বলেন, তার প্রথম অস্ত্রোপচার দরকার ছিল না। প্রসূতির চিকিৎসায় তার পরিবারের ব্যয় হয় ৫ লাখ টাকা। সঙ্গে ক্ষতিপূরণ ২০ লাখ টাকাসহ মোট ২৫ লাখ টাকা সিজার করা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে চাওয়া হয়েছে।

Bootstrap Image Preview