যা কিছু রটে, কিছু সত্যও বটে: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বর্তমানে মানুষ আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের ক্রয় নিয়ে লজ্জাজনক সব খবর প্রকাশিত হয়। মাঝে মধ্যে অতিরঞ্জিতও হতে পারে। কিন্তু যা কিছু রটে, কিছু সত্যও বটে। কিছু ঘটনা অবশ্যই রয়েছে, যা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। এমন মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের খুব সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

বুধবার (২০ নভেম্বর) ময়মনসিংহজুড়ে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি সংক্রান্ত এক পর্যালোচনা সভায় উন্নয়ন প্রকল্পে সংশ্লিষ্টদের সতর্ক হতে এই পরামর্শ দেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

সভায় প্রকল্পের উন্নয়ন ও প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) প্রতিটি আইটেম ধরে খরচ একে একে খতিয়ে দেখা হচ্ছে উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘পূর্বের থোক বরাদ্দ থাক, থোক-ফোক আমরা উড়িয়ে দেব। কোনো থোক গ্রহণ করা হবে না। প্রত্যেক আইটেম বিস্তারিত বলতে হবে। কতগুলো খাট, কতগুলো গাড়ি, কয়টা বিদেশি ট্রিপ, কোথায়, কখন এসবের ইউনিক মূল্য উল্লেখ করতে হবে।’

তিনি বলেন, মূল্য আমরাও জানি। একটা খাটের দাম কত হতে পারে, এটাতে আমাদেরও ধারণা আছে। এগুলো আমরাও খোঁজ নেব।

মন্ত্রী জানান, ‘এসব কাউকে ধরার জন্য নয়। বরং এগুলোর মাধ্যমে মানুষের কাছে আমাদের লজ্জাটা কমাতে হবে। কোনো কোনো মানুষ বিরক্তিকর শব্দও ব্যবহার করে আমাদের জন্য। এসব শব্দ আমরা চাই না।’

জনসাধারণের কল্যাণে আসে না এমন প্রকল্প গুরুত্বহীন উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য নয়- এমন সকল উন্নয়ন প্রকল্প পেপার ওয়েট দিয়ে যে কদিন পারব চাপা দিয়ে রাখব।’ পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষের কল্যাণে আসবে, এমন সব প্রকল্প নিয়ে আসেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সেসব প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ার জন্য বসে রয়েছেন। আরও বেশি বেশি প্রকল্প নিয়ে আসেন।’

সভায় উপস্থিত সকলের উদ্দেশে পরকিল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের কাছে আমার আবেদন, প্রকল্প বাস্তবায়নের হারে পরিবর্তন নিয়ে আসুন। বেশি বাস্তবায়ন দেখান। এটা আপনরা আমাকে উপহার দেন। যেন জনসাধারণ মনে করে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে পরিবর্তন আসছে। আর আমরাও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারছি।’ সব শেষে উপস্থিত প্রকল্প পরিচালকদের কাছে অতীতের তুলনায় প্রকল্পে বেশি বাস্তবায়নের হার উপহার চান তিনি।