Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

মুসলিম ছাড়া আর সব ধর্মের লোক ভারতে থাকবে: বিজেপি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:৩৩ PM
আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:৩৩ PM

bdmorning Image Preview


ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সভাপতি অমিত শাহ বলেছেন, ‘আসামের মতোই নাগরিক তালিকা বা জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা (এসআরসি) সারা ভারতেই করা হবে। এ জন্য কোনো ধর্মের কারোরই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়। এছাড়া হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান শরণার্থীদের আশ্বস্ত করতে চাই যে, সরকার আপনাকে ভারত ছাড়তে বাধ্য করবে না।’

বুধবার রাজ্যসভার অধিবেশনে এসব কথা বলেছেন অমিত শাহ। তবে মুসলিম শরণার্থীদের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

এর আগেও অমিতসহ বিজেপি নেতৃত্ব একাধিকবার প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও পাকিস্তান থেকে আসা সেসব দেশের সংখ্যালঘুদেরই এ দেশে শরণার্থী হিসেবে গ্রাহ্য করা হবে। যার থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, ওই দেশগুলোতে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের মানুষের, অর্থাৎ মুসলিমদের ভারতে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করতে চায় বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার।

কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানায়, সংসদের চলতি অধিবেশনে রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ করার কথা কেন্দ্রীয় সরকারের। তার আগে বুধবার এনআরসি প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু হলে অমিত শাহ রাজ্যসভায় বলেন, ‘পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানে ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান ও পার্সি শরণার্থীদেরই নাগরিকত্ব পাওয়া উচিত। তাঁদের ভারতের নাগরিক করে তুলতেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রয়োজন।’

হিন্দু, খ্রিস্টানসহ বাকিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বললেও অমিত শাহ কেন মুসলিমদের এড়িয়ে গেলেন, তা জানতে চান এনসিপি সাংসদ সৈয়দ নাসির হুসেন। জবাবে অমিত শাহ বলেন, ‘আপনি এনআরসি ও নাগরিক সংশোধনী বিলের মধ্যে পার্থক্য গুলিয়ে ফেলছেন। এনআরসি তৈরির ক্ষেত্রে কোনো ধর্মকে নিশানা করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতেই সবকিছু হয়েছে। ধর্মীয় বিশ্বাস যাই হোক না কেন, দেশের সব নাগরিকেরই নাম নথিভুক্ত হবে এনআরসি তালিকায়। দেশের সর্বত্র এনআরসি হবে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সকলকে এনআরসির আওতায় আনতেই এই প্রক্রিয়া।’

আসামে নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা থেকে এরই মধ্যে ১৯ লাখের বেশি মানুষের নাম বাদ গেছে। কিন্তু ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে তাঁরা আবেদন করতে পারে বলে এ দিনও জানান অমিত শাহ।

তিনি বলেন, ‘তালিকায় নাম বাদ গেলে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে যাওয়ার অধিকার রয়েছে প্রত্যেকের। আসামের বিভিন্ন প্রান্তে এই ট্রাইব্যুনাল গড়ে তোলা হবে। কারো সামর্থ্য না থাকলে আসাম সরকার তাঁর আইনজীবীর খরচ বহন করবে।’

২০১৬ সালে লোকসভায় নাগরিক সংশোধনী বিল পেশ করে মোদি সরকার। পরে সেটি সংসদীয় যৌথ কমিটির কাছে পাঠানো হয়। এ বছর জানুয়ারি মাসে তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় ওই কমিটি। তার পর সেটি লোকসভায় গৃহীত হয় এবং গত ৮ জানুয়ারি পাস হয়ে যায়। কিন্তু রাজ্যসভায় এখনো পাস হয়নি বিলটি।

Bootstrap Image Preview