Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

১৫ বছর পর পাকিস্তানি পেঁয়াজ ঢুঁকবে বাংলাদেশের রান্নাঘরে

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:৪২ PM
আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:৪৩ PM

bdmorning Image Preview


“পাগলা খাবি কি, ঝাঁঝেই তো মরে যাবি!” – সেই ঝাঁঝ তো দূরের কথা পেঁয়াজের লাগামছাড়া দামের কারণে দেশের সাধারণ জনগণের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে পেঁয়াজ কূটনীতি শুরু করে দিল পাকিস্তান।

ইসলামবাদের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর, বাংলাদেশে ৩০০ টন পেঁয়াজ পাঠাচ্ছে পাক সরকার। দেশের বাজারে ২৫০ টাকা কেজি অতিক্রম পৌঁছে গিয়েছে পেঁয়াজের দাম। সেই ধাক্কা সামাল দিতে বেসরকারি উদ্যোগেই পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার অর্ডার চলে এসেছে।

পাক সংবাদ মাধ্যমের খবর, অন্তত ১৫ বছরের মধ্যে এমন কোনও অর্ডার এই প্রথম এলো বাংলাদেশ থেকে। পরিসংখ্যানের নিরিখে বাংলাদেশ সরকার তাদের চাহিদা মতো পেঁয়াজ আমদানির ৭৫ শতাংশই করে ভারত থেকে। সেখানেই বড়সড় ধাক্কা লাগল। কারণ, বাংলাদেশে পেঁয়াজের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। আবার ভারতেও পেঁয়াজের দাম শত রানের দোরগোড়ায় ওঠা নামা করছে। এই ধাক্কায় ভারতের রান্নাঘরে কান্না। আবার ভারত থেকে পেঁয়াজ না আসায় হাহাকার বাংলাদেশের হেঁসেলেও। অন্যদিকে পাকিস্তানেও টমেটো ও পেঁয়াজের দাম বাড়লেও তা এখনও শতরানের থেকে দূরে। পাকিস্তানি মূল্যে ৬০ টাকার আসে পাশেই ঘোরাঘুরি করছে কিলো প্রতি পেঁয়াজ।

পাক সংবাদ মাধ্যমে বাংলাদেশি কূটনীতিকদের বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বলা হয়, বাংলাদেশ ৩০০ টন পেঁয়াজের আমদানি করবে সেই অর্ডার করাচি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত জাহাজে পাঠানো হবে। সেখানে পৌঁছানোর পরেই দালালদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই পেঁয়াজের দাম ৬০-৭০ টাকা কেজিতে নেমে আসবে। শুধু পাক পেঁয়াজের ভরসা নয়, বাজারে দামের সমতা ধরে রাখতে তুরস্ক, মায়ানমার ও মিশর থেকে আমদানির পথেও যাচ্ছে ঢাকা। এদিকে পাক কূটনীতিকদের দাবি, সীমান্তের উত্তেজনার কারণে যে গরম সম্পর্ক তৈরি হয়েছে তার জেরে পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে রাজি নয় ভারত। এই সুযোগে পেঁয়াজ কূটনীতি চালিয়ে বাংলাদেশের মতো বিরাট বাজার ধরতে মরিয়া ইসলামাবাদ।

বাংলাদেশে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে চিন্তিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জাতীয় সংসদের অধিবেশনে জানান, কিছুদিনের মধ্যে মিশর ও তুরস্ক থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে আসবে। এরই মাঝে বেসরকারি উদ্যোগে ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে করাচির একটি সংস্থার মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানির কথা চূড়ান্ত হয়।

তার পরেই পাক কূটনৈতিক মহলে জোর আলোচনা-এর পিছনে রয়েছে পেঁয়াজ কূটনীতি। তবে পাকিস্তানি বাণিজ্য মহল এখনও নিশ্চিত নয় বাংলাদেশকে তাদের ভবিষ্যৎ বাজার হিসেবে মেনে নিতে। এখানে ভারতের প্রভাব কতটা কাটিয়ে ওঠা যাবে তা নিয়েও চলছে চর্চা। আপাতত পাক পেঁয়াজের আগমন বার্তায় খানিকটা হলেও ঝাঁঝ কমছে বাংলাদেশি ক্রেতাদের মধ্যে।

Bootstrap Image Preview