অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার রাষ্ট্র ইসরায়েল। যার অংশ হিসেবে গত কয়েকদিনে নারী ও শিশুসহ প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩৪ ফিলিস্তিনি। তাছাড়া গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ৬৯ বেসামরিক নাগরিক।
মূলত এর প্রতিবাদে ইহুদিবাদী রাষ্ট্রটির দিকে ইতোমধ্যে এক নতুন ধরনের রকেট নিক্ষেপ করেছে অঞ্চলটির প্রতিরোধ আন্দোলন ইসলামিক জিহাদ। যা এরই মধ্যে হানাদার বাহিনীকে অবাক করে তুলেছে।
সূত্রের বরাতে গণমাধ্যম ‘দ্য টাইমস অব ইসরায়েল’ জানায়, শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে চালানো হামলায় এই রকেটগুলো ব্যবহার করা হয়। অভিনব এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর মুখে প্রায় তিনশ কিলোগ্রাম পর্যন্ত বিস্ফোরক বহন করা যায়। এর মাধ্যমে হামলাস্থল ও এর আশপাশে এক বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালানো সম্ভব।
এ দিকে ‘চ্যানেল টুয়েলভ’ এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসলামিক জিহাদের অধিকাংশ রকেটের চেয়ে এগুলো অনেক বেশি শক্তিশালী। অবরুদ্ধ গাজার উপকণ্ঠে ইসরায়েলি ভূখণ্ডের মধ্যে একটি খোলা মাঠে এই ক্ষেপণাস্ত্র গিয়ে আঘাত হানে। এতে প্রায় ১৬ মিটার ব্যাসের ও দুই মিটার গভীর গর্ত তৈরি হয়।
অপর দিকে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে ইসরায়েলের এক সেনা কর্মকর্তা ‘চ্যানেল টুয়েলভকে’ জানান, ফিলিস্তিনি থেকে নিক্ষেপ করা এই রকেটগুলোর আকার দেখে তারা এক রকম বিস্মিত হয়েছেন। তাদের ধারণা, ইরানি প্রকৌশলীদের সহায়তায় স্থানীয়ভাবে এই রকেটগুলো তৈরি করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, উন্নত প্রযুক্তির বিভিন্ন দিক থেকে অঞ্চলটির প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম এই ইসলামিক জিহাদ। কেননা লেবাননের হিজবুল্লাহও প্রায় একই ধরনের রকেট ব্যবহার করে থাকে। যা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধনে সক্ষম।