প্রথমবারের মতো ডোপ টেস্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তির কার্যক্রম শুরু করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এই কার্যক্রমের শুরু হয় গত ১২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে।
তবে এ কার্যক্রম শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, সন্দেহভাজন মাদকাসক্ত শিক্ষকদের জন্য থাকবে এই ডোপ টেস্ট বলেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। আজ দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, শিক্ষকদের মধ্যে যদি কেউ মাদকাসক্ত থেকে থাকে তাহলে তাদেরও এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। সন্দেহভাজন শিক্ষকদের উপরেও করা হবে এই ডোপ টেস্ট।
এই কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নিয়ে তিনি আরও জানান, এই কার্যক্রম সারাবছর চলমান থাকবে। প্রতি বছরব্যাপী করা হবে এই ডোপ টেস্ট। আর এই টেস্ট এর জন্য কোন টাকা দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এছাড়াও বিভিন্ন সময় হল এবং ডিপার্টমেন্টে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে এবং যাদেরকে সন্দেহ করা হবে তাদেরকে ডোপ টেস্ট করা হবে। শুধুমাত্র প্রথম বর্ষ নয় প্রত্যেক বর্ষের ছেলেমেয়েদের উপরেই এই টেস্ট করা হবে। এবং যাদের রেজাল্ট পজিটিভ আসবে তাদেরকে রিহ্যাবের আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।
১২ নভেম্বর থেকে বিজ্ঞান শাখার ‘বি-১’ ইউনিটের ভর্তির মাধ্যমে এবারের ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়। ১৭ নভেম্বর সোমবার মানবিক শাখার ‘এ’ ইউনিটের ভর্তির মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম শেষ হওয়ার কথা। তবে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে পরবর্তী মেধাক্রম অনুসারে শিক্ষার্থীদের সাক্ষাতকারের জন্য ডাকা হবে।
ভর্তি গ্রহণের সময়ই শিক্ষার্থীদের ‘ডোপ টেস্ট’ করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের মুত্র সংগ্রহ করে চারটি পরীক্ষা করে মাদকাসক্ত কি না, তা নির্ণয় করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমেস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের শিক্ষকরা।
এ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ মির্জা নুরুন্নবী বলেন, “ইয়াবার জন্য এএমপি, মারিজুয়ানার জন্য টিএইচসি, পাথেড্রিনের জন্য ওপিআই এবং স্লিপিং পিলের জন্য বিজেডও টেস্ট করা হচ্ছে।”
‘ডোপ টেস্ট’ বাবদ ৩০০ টাকা ও স্বাস্থ্যবীমা বাবদ আরও ২০০ টাকা ফি ধরে গত বছরের তুলনায় এ বছর ভর্তি ফি বাড়ানো হয়েছে ৫০০ টাকা। ফলে ভর্তি ফি ৭ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮ হাজার টাকা।