Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রাশিয়ার নির্দেশেই মালয়েশিয়ার এমএইচ১৭ বিমানে হামলা!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১০:০৪ AM
আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৯, ১০:০৪ AM

bdmorning Image Preview


২০১৪ সালে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের বিমান এমএইচ১৭ কে ভূপাতিত করার অভিযোগ উঠেছে রাশিয়ার সরকারের উচ্চ পদস্থ কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যদিও এর আগে রাশিয়া এই ঘটনার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছিল।

একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থার প্রকাশিত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিবিসি, ডয়েচে ভেলে, দ্য গার্ডিয়ানসহ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এই তথ্য জানিয়েছে।

তদন্তকারীদের দাবি, পূর্ব ইউক্রেনের যে বিদ্রোহীরা ওই বিমানটি ভূপাতিত করার সঙ্গে জড়িত তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল খোদ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের।

তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, তদন্ত কর্মকর্তারা পূর্বানুমানের ভিত্তিতে এই তদন্ত করেছেন।

২০১৪ সালের ১৭ জুলাই ২৯৮ জন যাত্রী নিয়ে ইউক্রেনে ভূপাতিত হয় মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনসের ওই বিমানটি। ভূমি থেকে ছোঁড়া একটি ক্ষেপনাস্ত্রের আঘাতে এটি ভূপাতিত হয়ে বিদ্ধস্ত হয়। মারা যান এর প্রতিটি যাত্রী। যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন নেদারল্যান্ডসের নাগরিক।

তদন্তকারীরা এই ঘটনার জন্য চারজনকে দায়ী হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যাদের মধ্যে একজন সেনাপ্রধানও রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে এই সন্দেহভাজনদের বিচার শুরু হবে।

নেদারল্যান্ডভিত্তিক তদন্ত দলটি বৃহস্পতিবার কিছু টেলিফোনালাপের তথ্য প্রকাশ করে। সেখানে দেখা যায় ডোনেটস্ক পিপলস রিপাবলিক নামে একটি বিদ্রোহী দলের নেতাদের সঙ্গে রাশিয়ার উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের টেলিফোনে কথা হয়েছে। এই দলটির বিরুদ্ধেই এমএইচ১৭কে ভূপাতিত করার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, রাশিয়ার শীর্ষ ব্যাক্তিরাই ইউক্রেনের বিদ্রোহী দলটিকে দিয়ে বিমানটি ভূপাতিত করায়।

২০১৪ সালের জুন থেকে জুলাই মাসের মধ্যে তিনটি ফোনকলের তথ্য পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে জয়েন্ট ইনভেসটিগেশন টিম (জেআইটি)।

যাদের কথোপকোথন পাওয়া গেছে তাদের মধ্যে একজন হলেন রাশিয়ার নাগরিক ও বিদ্রোহী দলটির স্বঘোষিত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আইগর গিরকিন। যাকে এর আগেই বিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

ওইসব ফোনালাপে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সেরগেই সইগুর নামও কয়েকবার এসেছে বলে জানা গেছে। তিনি বিদ্রোহী দলটির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন বলেও প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি করেছে তদন্ত দল। ফোনালাপে গিরকিন রাশিয়ার কাছ থেকে সামরিক সহায়তা চেয়েছিলেন ও রাশিয়ার তরফ থেকে সহায়তা করার আশ্বাস দেওয়া হয় বলেও প্রমাণ মিলেছে।

তবে রাশিয়া কর্তৃপক্ষ এই সমস্ত খবরকে মিথ্যা ও সাজানো বলেই দাবি করেছে। বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে রাশিয়া বলেছে, এইসব ফোনকলের সত্যতার কোনো প্রমাণ নেই।

Bootstrap Image Preview