মাসখানেক আগে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে হুশিয়ারি করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, উত্তর সিরিয়ায় অভিযান চালিয়ে তিনি যাতে বোকা কিংবা কঠোর ব্যক্তিতে পরিণত হয়ে না যান।
এসব সত্ত্বেও সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় সেনা পাঠিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। যাতে মার্কিন কর্মকর্তারাও ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সেই সব ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ন্যূনতম বিরক্ত হয়েছেন বলেও মনে হচ্ছে না।
এমনকি তুর্কি অভিযানে মধ্যপ্রাচ্যে বিপদে পড়ে যাওয়া মার্কিন নীতি নিয়ে কোনো হতাশার আভাস না দিয়েই এরদোগানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন ট্রাম্প।
এরদোগানের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন,আমি এরগোনের একজন বড় ভক্ত।
আর এরদোগান ট্রাম্প সম্পর্কে বলেন, আমার প্রিয় বন্ধু। মধ্যপ্রাচ্যে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র কুর্দিশ ওয়াইপিজি যোদ্ধাদের হটাতে অভিযান চালায় তুরস্ক।
এতে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক সামরিক ও কূটনৈতিক কর্মকর্তারা ক্রোধে ফেটে পড়েন। এমকি তুরস্ককে শাস্তি দিতে নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনাও করেছে মার্কিন কংগ্রেস।
এছাড়া রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্কের সম্প্রতি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় নিয়েও ক্ষিপ্ত ছিলেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
এতে আংকারার বিরুদ্ধে আলাদাভাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের যৌক্তিক কারণ তৈরি করেছে বলে দেশটির দুই দলই একমত পোষণ করেছেন।এরদোগানকে দেয়া আমন্ত্রণ বাতিলে গত সপ্তাহে ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের অধিকাংশ ডেমোক্র্যাটিক সদস্য।
বুধবার সিনেটে রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, এই বৈঠকে তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে সহায়ক হবে। কিন্তু হোয়াইট হাউসে এরদোগানকে সম্মান জানাতে দেখে নিজের অস্বস্তি লুকাতে পারছি না।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে আমি বরং শান্তি প্রতিষ্ঠার দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছি। এছাড়া অভিশংসন প্রক্রিয়াকে তিনি তামাশা ও কৌতুক বলে অভিহিত করেন।