Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৪ বুধবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

স্ত্রী-সন্তানের কাছে পৌঁছার আগেই লাশ হলেন ছাত্রদলের সহসভাপতি ইউসুফ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:১১ PM
আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০১৯, ০৩:১১ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে আর বাড়ি ফেরা হলো না হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আলী মো. ইউসুফের। স্ত্রী সন্তানের কাছে পৌঁছানোর আগেই চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী ‘তূর্ণা নিশীথা’র সঙ্গে সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে যাত্রা করা ‘উদয়ন এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সংঘর্ষে  মারা গেছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ইউসুফকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তার পরিবার। শোকে মূহ্যমান হয়ে পড়েছে তার এলাকার মানুষও।

নিহত ইউসুফ হবিগঞ্জের আনোয়ারপুর এলাকার বাসিন্দা মো. হাসান আলীর ছেলে। মঙ্গলবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে দুই ট্রেনের সংঘর্ষে তিনি নিহত হন।

নিহত ইউসুফের প্রতিবেশী মো. জয়নাল মিয়া জানান, কয়েক বছর আগে ইউসুফ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কাকাইলছেও গ্রামের চিশতিয়া বেগমকে বিয়ে করেন। তার স্ত্রী চট্টগ্রামে স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে চাকরি করছেন। তাদের দেড় বছর বয়সী একটি সন্তানও রয়েছে। নাম ইশা বেগম।

আর ইউসুফ হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজ থেকে ২০১৫ সালে ব্যবস্থাপনা বিষয়ে এমএ পাশ করে লিটল ফ্লাওয়ার কিন্ডারগার্টেন নামে একটি স্কুল পরিচালনা করছেন। স্কুলটির অধ্যক্ষের দায়িত্বও তিনি পালন করছিলেন।

প্রায়ই তিনি স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে দেখা করতে চট্টগ্রামে যাতায়াত করতেন। মঙ্গলবার তিনি উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনযোগে স্ত্রী ও সন্তানকে আনতে চট্টগ্রামে রওনা হন। কিন্তু পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা যান ইউসুফ।

তিন ভাই বোনের মাঝে ইউসুফ তৃতীয়। ২০১১ সালের জুনে মারা গেছেন তার বাবা। আর ২০১৭ সালের মার্চে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন তার বড় ভাই মো. উসমান গনি। এমএ পাশ করে তিনি ধরেছিলেন পরিবারের হাল।

জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রুবেল চৌধুরী জানান, ইউসুফ জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি ছিলেন। স্ত্রী চট্টগ্রামে চাকরি করার সুবাধে তিনি প্রায়ই সেখানে যাতায়াত করতেন স্ত্রী সন্তানকে দেখার জন্য।

তিনি বলেন, অত্যন্ত ভালো ছেলে ছিলেন ইউসুফ। বাবা ও ভাই না থাকার কারণে তিনিই পরিবারের হাল ধরেছিলেন। লিটল ফ্লাওয়ার কিন্ডার গার্টেন নামে একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার একমাত্র ছোট ভাই আমজদ আলী পড়ছেন বিএ। তিনিও একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে হারিয়ে তার পরিবারের সদস্যরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

Bootstrap Image Preview