প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে আরও অনেক কিছুর মতো টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও বিকল হয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। এই অবস্থায় দুর্যোগকালীন সময়ে জাতীয় জরুরি সেবার হটলাইন নম্বর ‘৯৯৯’-এ কল করা যায় সে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে সফল পরীক্ষা-নীরিক্ষা করলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেইঞ্জ বাংলাদেশ।
যৌথভাবে আয়োজিত এই মহড়া বুধবার রাজধানীতে আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশে এই ধরনের পরীক্ষা এই প্রথম। রাজধানীর দুটি জায়গায় এই পরীক্ষা চালানো হয়েছে।
মহড়ায় বিটিআরসির প্রতিনিধি ছাড়াও ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্চ বাংলাদেশ-২০১৯ এ অংশ নেয়া সশস্ত্র বাহিনীর উধর্বতন কর্মকর্তারা, ইউএস আর্মির কর্মকর্তারা এবং সংশ্লিষ্ট অপারেটর-প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম যা বাংলাদেশ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ ও ইউএস আর্মি প্যাসিফিকের যৌথ উদ্যোগে ২০১০ সাল হতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সিম ছাড়াই এই প্রযুক্তিতে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করার সুযোগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই সেবা চালু রয়েছে। এই সেবার আওতায় ফোনের এসওএস বাটন চেপে কল করা যাবে। অনেক সময় ফোনের এসওএস বাটনে ৯১১ নাম্বার প্রিসেট করা থাকে। সেক্ষেত্রে প্রিসেট নাম্বার রিসেট করে নেয়া যাবে। তবে এই পদ্ধতিতে কল করতে হলে যেকোনো মোবাইল ফোন অপারেটরের নেটওয়ার্ক বিস্তৃত ও চালু থাকতে হবে।
দুর্যোগকালীন সময়ে বিটিআরসি সবগুলো মোবাইল অপারেটরকে নির্দেশনা দেবে যেন তারা নেটওয়ার্কে ইমার্জেন্সি ওই যোগাযোগের অপশন চালু করে দেয়। এক্ষেত্রে গ্রাহকের মোবাইল যে কোনো একটি নেটওয়ার্ক পেলেই সংযোগ নিয়ে নেবে।