সাভারের আশুলিয়ায় তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরির আশ্বাস দিয়ে এক তরুণীকে (১৭) দলবদ্ধ ধর্ষণ এবং ধর্ষণের সহযোগিতার অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়নের তৈয়বপুর মোল্লাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গত সোমবার দিবাগত রাতে তৈয়বপুর এলাকার শান্তর বাড়িতে এ দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে রাতেই আশুলিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী তরুণী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চাঁদপুর জেলার মতলব থানার আছলছিলা গ্রামের মো. সোহেল মিয়ার ছেলে রবিন ওরফে সানি (২৪), ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার তৈয়বপুর এলাকার মৃত হাফিজ উদ্দিন মোল্লার ছেলে আজিম উদ্দিন মোল্লা (২৫), কামরাঙ্গীরচর থানার রনি গেইট এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে আকবর হোসেন (২৩), একই এলাকার মৃত শুক্কুর আলীর ছেলে শান্ত (২২), একই থানার আক্কেল আলীর গলির জাহাঙ্গীর গাজীর ছেলে মো. নাহিদ (২১) এবং রসুলপুর এলাকার রহিম মিয়ার ছেলে মো. ইমরান (২০)।
আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম জানায়, নির্যাতিতার চাচাতো বোনের সঙ্গে ফেসবুকের মাধ্যমে রবিনের পরিচয় হয়। পরে চাকরির খোঁজে খুলনা থেকে এসে আশুলিয়ার তৈয়বপুর এলাকায় রবিনের মাধ্যমে একটি বাসা ভাড়া কিছুদিন ধরে বসবাস করছিলেন তারা।
তিনি বলেন, সোমবার রাতে রবিনের বাসায় কয়েকজন লোক বেড়াতে আসে। একপর্যায়ে রবিন তার চাচাতো বোনকে ঘরের বাইরে ডেকে নিয়ে গেলে বেড়াতে আসা লোকজন কৌশলে ওই তরুণীর ঘরে ঢুকে। এ সময় বাড়ির মালিক আজিম উদ্দিন মোল্লার পাহারায় চার ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করে।
জিয়াউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই তরুণী রাতেই আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে মঙ্গলবার সকালে আশুলিয়ার তৈয়বপুর মোল্লাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে আকবর হোসেন, শান্ত, নাহিদ ও ইমরানকে এই দলবদ্ধ ধর্ষণে জড়িত আর রবিন ও আজিমউদ্দিন মোল্লা তাদের সহযোগিতা করেন।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।