Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৫ বৃহস্পতিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১২ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভাবিকে দিয়ে ডেকে এনে চাচাতো বোনকে গণধর্ষণ

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৪৭ AM
আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ১০:৪৭ AM

bdmorning Image Preview


প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভাবিকে দিয়ে ডেকে এনে চাচাতো বোনকে (১৫) গণধর্ষণ করেছে কাউসার নামে এক যুবক।

সোমবার দুপুরে পটুয়াখালী সদর উপজেলার উত্তর বাদুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পরে গণধর্ষণের শিকার কিশোরী জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়। ফোন পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ আসার সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যায় দুই ধর্ষক কাউসার ও ইসা।

তাদের পালাতে সহায়তা করায় ধর্ষকদের দুই বন্ধু মো. সোহেল মৃধা (২৮) ও মুছা মৃধাকে (১৯) আটক করেছে পুলিশ। পাশাপাশি ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর ভাই বলেন, উত্তর বাদুরা গ্রামে ডেকে এনে আমার বোনকে গণধর্ষণ করেছে কাউসার ও ইসা। ঘটনার পর অসুস্থ অবস্থায় জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায় বোন। ফোন পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ আসার পরপরই ধর্ষক কাউসার ও ইসাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে তাদের দুই বন্ধু সোহেল মৃধা ও মুছা মৃধা। পরে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

নির্যাতিত কিশোরীর ভাষ্য, ধর্ষক কাউসার আমার চাচাতো ভাই। অনেকদিন আগ থেকে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল সে। এতে রাজি না হওয়ায় চাচাতো ভাবির মাধ্যমে দুপুরে আমাকে মৃধা বাড়িতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃধা বাড়িতে যাওয়ার পর আমাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে কাউসার ও তার বন্ধু ইসা। পরে আমি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানাই। পুলিশ আসার পর পালিয়ে যায় কাউছার ও ইসা। তাদের পালাতে সহায়তা করে সোহেল ও মুছা।

পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সদর উপজেলার উত্তর বাদুরা গ্রামে ওই কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ৯৯৯ নম্বরে ফোন পাওয়ার পরপরই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ দেখে দুই ধর্ষককে পালাতে সহায়তা করায় সোহেল মৃধা ও মুছা মৃধাকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Bootstrap Image Preview