আরামদায়ক কক্ষ, হালকা নীল আলো, ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল পান করার সঙ্গে কীসের সম্পর্ক থাকতে পারে? স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে, একটি শান্তিদায়ক ঘুমের সঙ্গে এসব কিছু জড়িত, সেই সঙ্গে বিরক্তি ও অতৃপ্তিও।
তবে পরিপূর্ণ ঘুমের জন্য গবেষকেরা আরও একটি বিষয়কে গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। সেটি হচ্ছে-ক্ষমা করার গুণ।
সাইকোলজি অ্যান্ড হেলথ জার্নালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে এমনটিই দেখা গিয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে ১৪০০ জন প্রাপ্তবয়স্কের ওপর এই গবেষণা চালানো হয়। এতে দেখা গিয়েছে, যে বেশি ক্ষমাশীল তার ঘুম ততো বেশি আরামদায়ক।
ক্ষমা বিষয়টি শুধু অন্যের প্রতি নয়, নিজের প্রতিও। ঘুম ছাড়াও পুরো জীবনযাপনের সঙ্গে বিষয়টি জড়িত।
গবেষণাটি থেকে জানা যায়, মানুষের অপরাধ করার প্রবণতা, সেই সঙ্গে যাদের প্রতি অপরাধ করা হয়েছে তাদের ক্ষমা করে দেওয়া, একইভাবে নিজে ভুল স্বীকার করা এবং অন্যের ভুলকেও ক্ষমার চোখে দেখা- এই বিষয়গুলোর সঙ্গে তাদের বর্তমান স্বাস্থ্য, ঘুমের গুণমান সেই সঙ্গে তৃপ্তিকর জীবনযাপন নিরীক্ষা করে দেখা হয়।
ফলাফলে দেখা যায়, নিজেকে সেই সঙ্গে অন্যকে ক্ষমা করার পর তারা আরও বেশি ভালো ঘুমাতে পারল।
এ ছাড়া বিষয়টি তাদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনেই ইতিবাচক প্রভাব ফেলল। কারণ, ভুল এবং অপরাধবোধের কারণে মানুষের মধ্যে মানসিক চাপ, আক্ষেপ, জীবনের প্রতি বিরক্ত হয়ে পড়েছিলেন তারা।
ক্ষমাশীল হওয়ার প্রবণতায় তারা মানসিকভাবে প্রশান্তি পাচ্ছিলেন এবং পরিপূর্ণ ঘুম দিতে পেরেছিলেন। যেটি তাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য বড় ভূমিকা রাখে।