Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

বিনা বেতনে ৬০ বছর ধরে আজান দিচ্ছেন তিনি

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:৪৭ PM
আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:৪৭ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত


নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে মসজিদে আজান দেওয়া হয়। এর জন্য প্রতিটি মসজিদেই মুয়াজ্জিন নিয়োগ দেওয়া হয়। যিনি মাস শেষে বেতন পান।

কিন্তু টাকা না নিয়েই ৬০ বছর ধরে আজান দিয়ে আসছেন অজি উল্যা চৌধুরী। কারণ তিনি আজান দিতে ভালোবাসেন। মধুর সুরে আজান দিয়ে মুসল্লিদের ডাকতে ভালোবাসেন। যতদিন সামর্থ থাকবে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে তিনি ততদিন আজান দিবেন।

জানা গেছে, অধিকাংশ সময়ই অজি উল্যা মাইক ছাড়াই আজান দিয়েছেন। যতদূর তার আজানের সুর শোনা যেত, মানুষ মুহুর্তেই বুঝতে পারতো অজি উল্যা আজান দিচ্ছে। ৮০ বছর বয়সেও বন্ধ করেননি আজান দেয়। তবে বয়সে ভারে এখন তার কন্ঠস্বর কিছুটা অস্পষ্ট।

পবিত্র মক্কা শরীফে আজান দেওয়া তার শখ ছিল। ২০০৫ সালে হজে করতে গিয়ে সেই শখ পূরণ করতেও চেয়েছিলেন। তবে সৌদির বাদশার অনুমতি ছাড়া মক্কা শরীফে আজান দেওয়ার রেওয়াজ নেই বলেই তার শখ পূরণ হয়নি। তার ছেলেমেয়েরা ঢাকায় থাকেন। সেখানে গেলেও স্থানীয় মসজিদে আজান দেন তিনি।

অজি উল্যা লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার টুমচর ইউনিয়নের উত্তর টুমচর গ্রামের মৃত মৌলভী আলি আহম্মদের ছেলে। ১৯৪০ সালে জন্মগ্রহণ করেন অজি উল্যা। ১৯৫৬ সালে তিনি এসএসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে টুমচর ইউনিয়ন পরিষদের দুই মেয়াদে সদস্য (মেম্বার) ছিলেন। বর্তমানে তিনি উপজেলার শাকচর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

জানা গেছ, ১৯৯৮ সালে সদর উপজেলার উত্তর টুমচর জালাল পাটওয়ারী জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে তিনি ২১ বছর আজান দিয়েছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তিনি শাকচর গনুমিয়া মৌলভীর জামে মসজিদ, উত্তর টুমচর আব্দুল মজিদ জামে মসজিদ ও শাকচর ছহি মিজি জামে মসজিদে আজান দিয়েছিলেন। বর্তমানে স্থানীয় মসজিদে নিয়মিত আজান দেন। এছাড়া ছেলেমেয়ে ও আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় গেলে স্থানীয় মসজিদেও তিনি আজান দিতেন।

অজি উল্যা চৌধুরী বলেন, আজান দিতে আমার ভালো লাগে। ২০ বছর বয়স থেকেই আমি আজান দিয়ে আসছি। দেশের যে স্থানেই গিয়েছি, সেখানে স্থানীয় মসজিদে আজান দেওয়ার সুযোগ করে নিয়েছি। আল্লাহর পথে মানুষকে ডেকে আনা অনেক সওয়াবের কাজ। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আমার উদ্দেশ্য। এর থেকে অন্য কোন চাহিদা আমার নেই। যতদিন সামর্থ থাকবে, ততদিন আজান দিবো।

Bootstrap Image Preview