Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অনুমোদন ছাড়াই ইরাকে সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ১১:১১ AM
আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৯, ১১:১১ AM

bdmorning Image Preview


মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তুরস্কের ব্যাপক সেনা অভিযানের পর এবার অঞ্চলটিতে এক থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র সেখান থেকে তাদের সেনা সদস্যদের প্রত্যাহারের মাধ্যমে প্রতিবেশী ইরাকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও প্রত্যাহারকৃত এসব সৈন্যদের ইরাকে অবস্থানের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো অনুমোদন দেওয়া হয়নি বলে দাবি দেশটির সামরিক বাহিনীর।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) ইরাকি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, এখন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেবল ট্রানজিট হিসেবেই ইরাকের মাটিকে ব্যবহার করতে পারবে। অন্য কোনো কাজে নয়। খবর ‘রয়টার্সের’।

এ দিকে ইরাকি সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র সিরিয়া থেকে প্রত্যাহারকৃত সকল মার্কিন সেনা ইসলামিক স্টেটস (আইএস) বিরোধী কথিত লড়াইয়ে যোগ দিতে দেশটিতে অবস্থানের বিষয়ে পেন্টাগনের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। 

তিনি বলেন, ‘অনুমোদন ছাড়াই ইরাকে সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। যদিও সিরিয়া থেকে প্রত্যাহারকৃত সকল মার্কিন সেনাদের কেবল কুর্দিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে; যাতে করে তাদের সহজেই ইরাকের বাইরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়। তবে ইরাকে তাদের স্থায়ীভাবে অবস্থানের জন্য এখনো কোনো অনুমতি দেয়নি।’

অপর দিকে ইরাকি সেনাদের এমন প্রতিক্রিয়ার জবাবে মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকতা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ইরাকে অবস্থান করবে কি-না সে বিষয়টি এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি। তাই খুব শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’

এর আগে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে 'অপারেশন পিস স্প্রিং' নামে চলমান তুর্কি সেনাদের অভিযান বন্ধে টানা পাঁচদিনের এক অস্ত্রবিরতির মার্কিন প্রস্তাবে সম্মত হয় তুরস্ক। যদিও এরই মধ্যে সেই সময়ও শেষ হয়ে গেছে। তবে নির্ধারিত সেই সময়ের মধ্যে মার্কিন সমর্থিত কুর্দি বাহিনীর সঙ্গে তুর্কি সেনাদের বেশ কয়েকবার বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

যদিও গত ৯ অক্টোবর অঞ্চলটিতে অবস্থানরত প্রায় হাজারখানেক মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও তখন সেসব সেনাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। তবে পরবর্তীতে মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো নতুন সিদ্ধান্তে সেনাদের এখন আর যুক্তরাষ্ট্রে নয়; বরং তাদের ইরাক মিশনে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়।

Bootstrap Image Preview