গণজাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, ‘ভোলায় পুলিশের উপর ভয়াবহ হামলার ভিডিওটি দেখলে স্পষ্ট বোঝা যায় এটি কোনো সাধারণ হামলা নয়। পরিকল্পিতভাবে ফেসবুক একাউন্ট হ্যাক করে গুজব ছড়িয়ে একটি গোষ্ঠী সুচতুরভাবে এই নারকীয় হামলার ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছে। আক্রমণের ধরণ এবং আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারে ধারণা পাওয়া যায় যে এই হামলাকারীরা জঙ্গীবাদে প্রশিক্ষিত।’
তিনি বলেন, ‘মৃত্যু সবসময়ই শোকের এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। তাই এরকম অপচয় প্রতিরোধে তার কারণ অনুসন্ধানও জরুরি। এই হামলাকারীরা কারা? পুলিশবাহিনীর উপর তাদের হামলে পড়ার ধরন থেকে এদের আত্মঘাতী জঙ্গি বলেই মনে হচ্ছে যারা যেকোনমূল্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে সুনির্দিষ্ট কোনো ফায়দা হাসিল করতে চায়।’
ইমরান বলেন, গণমাধ্যমের খবরে জানলাম, নিহত অন্তত দুজনের মাথা ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে থেঁতলে দেয়া হয়েছে। এটি তো পুলিশ করেনি। খুঁজে বের করতে হবে এই হত্যা কারা করেছে। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে স্পষ্ট পুলিশ কতোটা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। এটিও সম্পূর্ণ পরিষ্কার নিজেদের এবং সাংবাদিকদের প্রাণ বাঁচাতেই তাদেরকে গুলি ছুড়তে হয়েছে।
ইমরান আরো বলেন, এই জঙ্গীদের পুলিশের উপর এতো ক্ষোভ কেনো? কেনো এই পরিকল্পিত হামলা? হলি আর্টিজানের ঘটনার পর জঙ্গীবাদের থাবা থেকে দেশ বাঁচানোর জন্য পুলিশের অভিযানই কি তাদের উপর এতো ক্ষোভের কারণ?
যেহেতু এই হামলার ভিডিও ফুটেজ আছে, অবিলম্বে ফুটেজ দেখে এই জঙ্গীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। একইসাথে খুঁজে দেখতে হবে এই হামলায় নেপথ্যে থেকে কারা কলকাঠি নেড়েছে, কী স্বার্থ তারা হাসিল করতে চাচ্ছে। আরও বড় কোনো সহিংস ঘটনা ঘটানোর আগেই এই দানবদের দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি।