Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

ভেদরগঞ্জে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হস্তক্ষেপে ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন ভূমি কর্মকর্তা

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:৩৩ PM
আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৯, ০৭:৩৩ PM

bdmorning Image Preview


শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলায় রামভদ্রপুর ইউনিয়নের ভূমি কর্মকর্তার অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজই হয় না। ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ, ঘুষ গ্রহণ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

উক্ত ভূমি অফিসের ভূমি কর্মকর্তা নামজারি, নামপত্তন ও খাজনার রশিদ দেয়ার ক্ষেত্রে নির্ধারিত ফি এর চেয়ে শতগুণ বেশি টাকা আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।

স্থানীয় ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র কর্মকার ৪ মাস যাবৎ রামভদ্রপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যোগদান করেন। উক্ত ভূমি অফিসের আওতায় রামভদ্রপুর ইউনিয়ন,মহিষার ইউনিয়ন,নারায়ন পুর ইউনিয়ন ও ভেদরগঞ্জ পৌরসভা রয়েছে।

উক্ত এলাকার জমির মালিকরা নামজারি (মিউটেশন) ও খাজনা এই অফিসে প্রদান করে থাকেন। উক্ত অফিসে সেবা প্রার্থীগণ আবেদন জমা দেয়ার পর ভূমি কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র কর্মকার নানা ত্রুটির অজুহাতে দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।

খাজনার টাকা জমা দিতে গেলে রসিদে উল্লেখিত টাকা ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকেন। তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যে ঘুষের টাকা না দিলে ফাইল ছুঁড়ে ফেলে দেন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।

এছাড়াও এই ভূমি অফিসের অধীনে ভয়রা নদী ও আশপাশের হাওয়ড় বাঁওড়ে অবৈধ ড্রেজারের অনুমতি দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি।

অনেক সময় মোটা অংকের টাকা দিয়েও মাসের পর মাস মিউটেশন পাওয়ার জন্য তার পেছনে ঘুরতে হচ্ছে। জানা যায় চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বর উপজেলার রামভদ্রপুর গ্রামের ফারুক সরদার কার্তিকপুর ৮৫২ দাগের ৬ শতাংশ জমি মিউটেশন করার জন্য আবেদন নিয়ে রামভদ্রপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে যান।

সেখানে কর্মরত ভূমি কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র কর্মকার তার কাছে মিউটেশন বাবদ ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এতো টাকা দিতে অস্বীকার করায় ভূমি কর্মকর্তা তাকে অফিস থেকে তাড়িয়ে দেয়ার কথা বললে পরির্বতে সে বাদ্য হয়ে ২০ হাজার টাকা ঘুষ দেন।

এ বিষয়ে ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারি নিবার্হী কমিশনার (ভূমি) শংকর চন্দ্র বৌদ্ধ বরাবর মৌখিক অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ফারুক সরদার। পরবর্তীতে সোমবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলা সহকারি নির্বাহী কমিশনার (ভূমি) শংকার চন্দ্র বৌদ্ধের নির্দেশে এই ঘুষের টাকা ফেরত দেন তিনি।

এ বিষয়ে ভুক্তোভোগী ফারুক সরদার বলেন, মিউটিশন করে দেয়ার কথা বলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র কর্মকার অনেকের কাছ থেকে টাকা নেন আমিও ২০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম। আজকে সহকারি কর্মকর্তা (ভুমি) শংকর চন্দ্র বৌদ্ধের সহযোগীতায় টাকা ফিরত পেয়ে আমি অনেক খুশি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রামভদ্রপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র কর্মকার বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে সরি। আমি এ দরনের ভুল আর কোন দিন করবোনা।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা সহকারি নিবার্হী কমিশনার (ভূমি)শংকর চন্দ্র বৌদ্ধ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা অনিল চন্দ্র কর্মকারকে হুসিয়ারি দিয়ে বলেন, এধরনের ঘটনা খুবই দু:খ জনক বিষয়। পরির্বতে যেন এধরনের ঘটনা আর না ঘটে।

Bootstrap Image Preview