বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে যুবলীগের দায়িত্ব নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে ছিল আলোচনা।
শুক্রবার সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া বিভিন্ন মন্তব্যেও নিজের কথা থেকে সরে আসেননি উপাচার্য মিজানুর রহমান।
তিনি জানিয়েছেন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নম্বর সহসভাপতি হিসেবে তার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার কথা।
যুবলীগের বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী বর্তমানে নিষ্ক্রিয় রয়েছেন।
ক্যাসিনো চালানোর প্রমাণ পাওয়ার পর এতে যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। এরপর থেকে যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর নামও উঠে আসে। তার বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়।
ওমর ফারুক চৌধুরী ছাড়াই সম্প্রতি সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের বৈঠক হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে যুবলীগের দায়িত্ব চেয়েছেন মীজানুর রহমান।
এ বিষয়ে শনিবার জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমি যুবলীগের এক নম্বর প্রেসিডিয়াম সদস্য বা ১ নম্বর সহসভাপতি। উপাচার্য হওয়ার পর আমি আমার পদ থেকে পদত্যাগ করিনি বা আমাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়নি। পদাধিকারবলে এখন আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়া কথা’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিংয়ের অধ্যাপক মীজানুর রহমানের যুবলীগে সম্পৃক্ত আছেন অনেক দিন ধরে। ষাটোর্ধ্ব এ অধ্যাপক বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য।
২০১৩ সালে জগন্নাথের উপাচার্য হওয়ার পরে আর সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত নন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তিনি আরো জানান, ‘এখন যদি আমাকে যুবলীগের চেয়ারম্যান করে দেওয়া হয় তাহলে আমি উপাচার্যের দায়িত্ব ছেড়ে দেব। যুবলীগ আমার একটি প্রিয় সংগঠন। বর্তমানে যুবলীগের অনেক দুর্নাম রয়েছে। প্রিয় সংগঠনের দুর্নাম দূর করার জন্য যদি আমাকে স্যাক্রিফাইস করা লাগে তাহলে আমি তাই করব’।
মীজানুর রহমান বলেন, ‘আমাকে যুবলীগের দায়িত্ব দেওয়া হলে উপাচার্য পদে আর থাকব না’।
তিনি আরো বলেন, ‘আমি উপাচার্য হওয়ার পরে যুবলীগের কোনো মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করিনি। রবিবার গণভবনের যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মিটিং রয়েছে সেখানেও অংশগ্রহণ করব না’।