Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৯ শুক্রবার, মার্চ ২০২৪ | ১৫ চৈত্র ১৪৩০ | ঢাকা, ২৫ °সে

বাবার চেয়ে মাত্র দুই বছরের ছোট মেয়ে!

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:৪৭ PM
আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:৪৭ PM

bdmorning Image Preview
প্রতীকী ছবি


বাংলাদেশে পুরুষদের বিয়ের সর্বনিম্ন বয়স ২১। সেখানে ২২-২৩ বছর বয়সে বাবা হওয়াটা স্বাভাবিক। আবার বাল্যবিবাহ করে অনেকেই ১৫-১৬ বছর বয়সেও বাবা হয়েছেন। তাই বলে মাত্র দুই বছর বয়সেই বাবা হওয়ার নজির নেই। 

সম্প্রতি এমন বিরল ঘটনা ঘটেছে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায়। বাস্তবে মাত্র দুই বছর বয়সে বাবা হতে না পারলেও দশমিনার মো. মোবারক আলী চাকরি করার জন্য জালিয়াতি করে বয়স এতটাই কমিয়েছেন যে তিনি এখন তার মেয়ের চেয়ে মাত্র দুই বছরের বড়! যদিও তার বর্তমান জন্ম তারিখের ১৯ বছর আগে তার নামে ভূমি রেকর্ডের দলিল রয়েছে।

মো. মোবারক আলী দশমিনা উপজেলার বহরমপুর ইউনিয়নের উত্তর আদমপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চাকরি নিতেই এমন জালিয়াতি করেছেন। বয়স কমিয়ে তিনি অষ্টম শ্রেণি পাসের সার্টিফিকেট দিয়ে এ চাকরি করছেন বলে জানা গেছে।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মো. শাহাবুদ্দিন জানান, চাকরিতে যোগদানের সময় জমা দেওয়া অষ্টম শ্রেণি পাসের সনদ অনুযায়ী মো. মোবারক আলী ১৯৭৩ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেছেন। তার বাবার নাম সেকান্দার আলী প্যাদা ও মাতার নাম ময়না বিবি। তার ভোটার আইডি কার্ডেও একই জন্ম তারিখ রয়েছে। তার ভোটার আইডি নম্বর ৭৮০৫৭৭৭৭৬১৩৬।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মো. মোবারক আলী ১৯৫৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় আবদুল মজিদ আকনের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছেন।

একই বছরের ৫ আগস্ট তার নামে জমিটি রেকর্ডও হয়। ব্যক্তিগত জীবনে তার এক মেয়ে ও চার ছেলে। তার মেয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১৯৭৫ সালের ১০ মে। সে হিসেবে মেয়ের চেয়ে তিনি মাত্র দুই বছর দুই মাস ২৮ দিনের বড়। ছোট ছেলে মুজীবুর রহমানের শিক্ষাগত সনদ অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১৯৮৮ সালের এক জানুয়ারি।

এ বিষয়ে মো. মোবারক আলীর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ১৯৫৪ সালের আগেই তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন এবং ১৯৫৪ সালে তার নামে জমি ক্রয় করা হয়েছে।

বহরমপুর ইউনিয়নের উত্তর আদমপুর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার সনদ দেখে চাকরি দিয়েছেন। আর ওই সনদ মোবারক আলীই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছেন।

দশমিনা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

Bootstrap Image Preview