খুলনার দাকোপে নদী ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে স্থানীয় মানুষ। নির্ঘুম রাত কাটছে নদীর পাড়ে বসবাসরত প্রায় ৮০০ পরিবার। তাছাড়া শিবসা, ভদ্রা, পশুর, ঢাকি, তুলখুরি, নদীর ভাঙনে ইতোমধ্যে বসত বাড়ি ও জমি হারিয়েছেন অনেকেই।
সম্প্রতি দাকোপ উপজেলায় নদী ভাঙন আরও বেড়েছে, পানি বাড়তে থাকায় ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে নদী। ভাঙনের মুখে রয়েছে বাড়িঘর, বিদ্যালয়, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, কৃষি জমি। ইতোমধ্যে বানিয়া শান্তা বাজার, পানখালি, তিলডাঙ্গা বেড়িবাধের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি।
স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙন অব্যহত থাকলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে পারে দাকোপ উপজেলা।
স্থানীয় শাহেদ আলি বলেন, দীর্ঘ ৫ থেকে ৭ বছর ধরে এখানে অনেক জমি ভাঙে গেছে নদীতে। ঘরবাড়ি সহ অনেক কিছুই নদীতে বিলিন হয়েছে।
চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস জানান, আমরা পৌরসভাবাসী সব সময় বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসের আশংকায় থাকি। এখানকার মানুষের প্রাণের দাবি যদি উর্ধতন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে অতিসত্বর বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তাহলে এলাকার মানুষ অনেক উপকৃত হবে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে খুলনা পানি উন্নায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী জানান, আমরা বাঁধের ক্ষতিগ্রস্থ জায়গাগুলোতে অগ্রধিকারের ভিত্তিতে মেরামত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্ট যে জায়গাগুলো রয়েছে সে গুলোও আমরা মেরামত করব।