Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ১৯ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৬ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

অশ্রুসিক্ত প্রধানমন্ত্রী

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:৪৯ PM
আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:৪৯ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন বড় বোন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

শুক্রবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে হয়তো দেশের জন্য অনেক কিছু করত। মাঝে মাঝে মনে হয় ৫৪ বছর বয়সে কেমন হতো দেখতে তাকে? বলতে বলতে অশ্রুসিক্ত চোখে থেমে যান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, যখন সে আব্বা বলে ডাকতো তখন মা বলতো, আমি তোমার আব্বা। আমাকেই আব্বা ডাকো। সেই জন্যই সে জেলখানায় গিয়ে আব্বাকেও আব্বা বলে ডাকতো, আম্মাকেও আব্বা বলে ডাকতো।

‘আমাদের সবার আদরের ছিল রাসেল। ঘাতকরা ওকেও ছাড়লো না। আমরা যখন ঘটনাটি শুনেছি। তখন ভেবেছি হয়তো রাসেল বেঁচে আছে। অতটকু ছেলেকে কেন মারবে!’ বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন,‘আমি অনেক বছর পর দেশে এসে আলমারিতে কিছু ছোট ছোট কাপড় খুঁজে পাই। সেই কাপড়গুলো রাসেলের। রাসেলের স্বপ্ন ছিল বড় হলে সেনাবাহিনীতে যোগ দেবে। ও কাপড় সেভাবেই পড়তে ভালো বাসতো। আমার চাচা আবার বাড়ির ছোটদের ট্রেনিং দিত। আমরা মেয়েরা ওদের জন্য খাবার নিয়ে বসে থাকতাম।

সেইসব স্মৃতি মনে করতে পারিনা। ওর খেলার সাথীকেও মেরে ফেলছে। চার বছরের সুকান্তকে মেরে ফেললো। রাসেল অতটুকু বয়সে ওর বয়সী বাচ্চাদের কাপড় দিয়ে দিত। তাই মা বেশি করে বানাতো। কারণ ও বাইরে খেলতে গেলে কিনা নিজেরটা খুলে কাউকে দিয়ে দিত। সেই কাপড় পেলাম অনেকগুলো’ ৮১ সালে যখন বাংলাদেশে আসলাম।

তখন সরকার বললো, এই হত্যার মামলা করা যাবে না। আমি আমার বাবা পরিবারের হত্যকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবো না!

তিনি বলেন, খুনীদের করা হলো পুরস্কৃত। সে সময় যদি শিশু হত্যাকারীদের বিচার হতো। আজকে বাবা হয়ে সন্তানকে হত্যা করা হত না। বাবা হয়ে সন্তানকে হত্যা করে অন্য ফাঁসানোর জন্য। কি বিকৃত গেছে।’

১৫ আগস্টের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা নিজেদের কথাই ভেবেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘ এদেশের যারা বঞ্চিত মানুষ তাদের দিকে লক্ষ্য ছিল না। তারা শুধু নিজেদের উন্নতি করেছে।’

জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে শিশু আইন করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর সে আইন থাকে না। ‘আমি যখন প্রথম ক্ষমতায় আসি। শিশুদের জন্য আলাদা আইন করি। তাদের মেধা মনন যেন বিকশিত হয়। আধুনিক জ্ঞানের জন্য প্রত্যেকটা শিশুর জীবনযেন অর্থবহ হয়। সেজন্য সর্বাত্নক চেষ্টা করেছি।

আজকে যারা শিশু হত্যার সঙ্গে জড়িত তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলেও প্রধানমন্ত্রী হুশিয়ারি দেন।

 

Bootstrap Image Preview