Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২০ শনিবার, এপ্রিল ২০২৪ | ৭ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সুসময়ে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছে, বিপদের সময় ফোনও ধরেননি: সম্রাট

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:৪৫ PM
আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:৪৫ PM

bdmorning Image Preview


ক্যাসিনো গডফাদার ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিছে এসেছে চারজন গডফাদারের নাম। ক্যাসিনো বাণিজ্যে তাকে সহযোগিতা করত এসব নেতারা। তাদের নিয়মিত বড় অঙ্কের টাকা দিয়েছেন।

তাদের প্রশ্রয়েই আমি বেপরোয়া হয়ে উঠেছি। নেতাদের জিজ্ঞাসা করে দেখেন, ঢাকায় একটি সমাবেশ করতে কত টাকা লাগে। কে দিয়েছে এই টাকা। আমার কাছ থেকেই সবাই টাকা নিয়েছে।

তিনি জানান, সিঙ্গাপুরে হুন্ডি হক নামে পরিচিত এক ব্যক্তির সহায়তায় বিপুল পরিমাণ টাকা পাচার করেছেন। তার কাছ থেকে হকের একটি হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর উদ্ধার করা হয়েছে।

এটি ধরে হকের সন্ধান চলছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে সম্রাট এবং তার সহযোগী আরমানকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র‌্যাব।

গ্রেফতারের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট যে চার গডফাদারের নাম বলেছেন, তা যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে। নামগুলো এখনই প্রকাশ করছেন না।

এর আগে সম্রাট বলেছেন, দক্ষিণ যুবলীগের সহসভাপতি সোহরাব হোসেন স্বপন শীর্ষ সন্ত্রাসী জাফর আহম্মদ মানিক ও সৈয়দ নাজমুল মাহমুদ মুরাদের সহযোগী হিসেবে পরিচিত।

তাদের অনুরোধে সোহরাবকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দেয়া হয়। এ দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীর সঙ্গে সমঝোতা করে তাদের আরেক সহযোগী খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকেও সাংগঠনিক সম্পাদক করেন সম্রাট।

এদিকে ক্যাসিনোর বিষয়ে কারা তার কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছে, এ বিষয়েও জিজ্ঞাসাবাদে তথ্য দিয়েছেন সম্রাট। তবে রিমান্ডের প্রথমদিন বুধবার মামলা র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর হওয়ায় তাকে গোয়েন্দা পুলিশ বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি।

এর আগে মঙ্গলবার রমনা থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদক আইনের দুটি মামলায় সম্রাটকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। মামলা র‌্যাবে হস্তান্তর করায় বৃহস্পতিবার বিকালে সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানকে গোয়েন্দা পুলিশের কাছ থেকে র‌্যাব-১ তাদের হেফাজতে নেয়।

এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার আলম যুগান্তরকে বলেন, সম্রাট ও আরমানকে ডিবির কাছ থেকে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। সুনির্দিষ্ট দুটি মামলার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

জিজ্ঞাসাবাদে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতাকে তিনি নিয়মিত মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়েছেন। এমন আরও অনেককেই তিনি টাকা দিয়েছেন। তিনি চার গডফাদার সম্পর্কে বলেন, তারাই আমার মাথার উপর ছাতা হিসেবে ছিলেন।

তাদের কারণেই কখনও আমাকে কারও কাছে জবাবদিহি করতে হয়নি। তাদের শেল্টারেই বেপরোয়া হয়ে উঠেন। বিভিন্নভাবে আয়ের বড় অংশই তাদের হাতে তুলে দিতেন।

কিন্ত বিপদের সময় কেউ তার পাশে দাঁড়ায়নি। অনেকেই তার ফোনও ধরেননি। একপর্যায়ে প্রায় সবাই তার সঙ্গে যোগাযোগই বন্ধ করে দেয়।

Bootstrap Image Preview