এনজিও’র ঋণের দায় থেকে মুক্তির জন্য নিজের ছেলে ও শ্যালকের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে স্ত্রী সুফিয়া আক্তারকে পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন স্বামী আলাল উদ্দিন (৫০)।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতরা টাঙ্গাইল বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
এরআগে, বুধবার (১৬ অক্টোবর) টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার আজগানা পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে আলাল উদ্দিন, তার ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩০) এবং তার স্ত্রীর ভাই আব্দুল মোতালেবের ছেলে স্বপন মিয়াকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, আলাল উদ্দিনের স্ত্রী সুফিয়া আক্তার (৪৬) গত রোববার নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। পরদিন এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এরপর গত মঙ্গলবার সুফিয়া আক্তারের লাশ আজগানা গ্রামের আউলিয়া বিল থেকে উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সুফিয়ার বড় ভাই মেছের আলী বাদী হয়ে ওই দিন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, নিহত সুফিয়া বিভিন্ন এনজিও থেকে কয়েক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে স্বামী আলাল উদ্দিনকে দিয়েছেন। কিন্তু আলাল উদ্দিনের পক্ষে এ ঋণের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব না।
অপরদিকে তার স্ত্রীর (সুফিয়ার) বড় ভাই মিনহাজ উদ্দিনের সঙ্গে আলাল উদ্দিনের বিরোধ রয়েছে। তাই ছেলেকে এবং শ্যালকের ছেলে স্বপন মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে সুফিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা করে স্বামী আলাল উদ্দিন। যেই কথা সেই কাজ, তিনজন মিলে বিলের পানিতে চুবিয়ে হত্যা করেন সুফিয়াকে।