Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৬ শুক্রবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

রিমান্ডের প্রথম দিনেই সম্রাটকে র‍্যাবে হস্তান্তর

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:২৪ PM
আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৫:২৪ PM

bdmorning Image Preview
সংগৃহীত ছবি


ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের মামলার তদন্তভার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) থেকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এর আগে অস্ত্র ও মাদক মামলায় তাকে ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। বুধবার (১৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডিবিতে তদন্তাধীন মামলা দুটির তদন্তভার র‌্যাবকে দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সকালে র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। পরে ৬ অক্টোবর সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাটকে গ্রেফতার করা হয়। তার সঙ্গে আরমানকেও আটক করা হয়।

ওই দিন দুপুরে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ে ঢুকে অভিযান শুরু করে। নিজ কার্যালয়ে পশুর চামড়া রাখার দায়ে তার ছয় মাসের জেল দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।

এর আগে ৯ অক্টোবর সম্রাটকে গ্রেফতার দেখানো পূর্বক ২০ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। ওইদিন শারীরিক অসুস্থতার কারণে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি থাকায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটকে আদালতে হাজির করা সম্ভব হচ্ছে না বলে আদালতকে চিঠি দেন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল কবির চৌধুরী। সম্রাট অসুস্থ থাকায় আদালতে উপস্থিত না করায় ঢাকার মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারী এ বিষয় শুনানির জন্য ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।

৮ অক্টোবর সকালে বুকে ব্যথা অনুভব করায় সম্রাটকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তাকে প্রথমে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।

শনিবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টা ২০ মিনিটে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট থেকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয় সম্রাটকে। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ড. মহসিন আহমেদ বলেন, সম্রাটের জন্য গঠিত সাত সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সবাই তাকে দেখেছেন।

তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বোর্ডের সদস্যরা মনে করেন, তার হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই। তাই তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
 

Bootstrap Image Preview