ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে সম্ভাব্য নাগরিক তালিকা (এনআরসি) আতঙ্কে আরও দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে এনআরসি আতঙ্কে মৃতের সংখ্যা ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
এনআরসির জন্য প্রয়োজনীয় নথি খুঁজে না পেয়ে শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাঁকুড়া ও বর্ধমানে এ দুজন মারা যান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময় জানায়, এনআরসি সংক্রান্ত সকল নথি না থাকার কারণে দুশ্চিন্তায় এ দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে দুই পরিবারের পক্ষ থেকেই অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে সিমলাপালে আজাদ আলি খান বেশ কিছুদিন ধরেই দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এনআরসি সংক্রান্ত খবর, ভিডিও দেখে নিজের ও পরিবারের সবার নথি বারবার দেখছিলেন তিনি।
শুক্রবার সকালে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে এই নিয়ে আলোচনাও হয়। তারপরই বাড়ি এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বাড়িতেই মৃত্যু হয় আজাদ আলীর।
এছাড়া পূর্ব বর্ধমানের টেঙ্গাবেড়িয়ার গোয়ালাপাড়ায় এনআরসি আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে কমল ঘোষ নামে এক দিনমজুরের।
জানা গেছে, বাড়ির কাগজপত্র নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল তার। এনিয়ে বারবার বিভিন্ন জায়গায় যেতে হচ্ছিল তাকে। শুক্রবার ডিজিটাল রেশন কার্ড করানোর জন্য বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন কমলবাবু। এসময় রাস্তাতেই অসুস্থ হয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি।
এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে এনআরসি আতঙ্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
মূলত আসাম রাজ্যে এনআরসি থেকে ১৯ লাখ মানুষ বাদ পড়ার পর এ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে। এর মধ্যে আছে এনআরসি নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতা-মন্ত্রীদের একের পর এক বিস্ফোরক বক্তব্যও।