বাঁশ দিয়ে গ্লাস তৈরি করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন ত্রিপুরার গোমতী জেলার নতুনবাজার এলাকার বাঁশচাষি গৌতম শীল।
সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রকৃতিকে বাঁচানোর জন্য ‘প্লাস্টিকবিরোধী’ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন। এই অভিযানের পর থেকে ভারতের কোন সরকারি অনুষ্ঠানে প্লাস্টিকের পানির বোতল, প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম গ্লাস, ব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে না। ফলে আবারও ফিরতে শুরু করেছে মাটির গ্লাস, চায় খওয়ার ভাঁড়সহ পাটের ব্যাগ।
ত্রিপুরা রাজ্যে বিপুল পরিমাণ বাঁশ চাষ হয়ে থাকে। নতুনবাজার এলাকার বাসিন্দা গৌতম শীল বাঁশ দিয়ে গ্লাস তৈরি করে ত্রিপুরাজুড়ে সাড়া ফেলে দিয়েছেন। তার তৈরি বাঁশের এই পানি খাওয়ার গ্লাসের খবর পৌঁছে গেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের কাছেও।
খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রী গোমতী জেলাশাসককে নির্দেশ দিয়েছেন ৫০০টি বাঁশের গ্লাস তৈরি করার জন্য।
আগামী ১৮ অক্টোবর (শুক্রবার) মুখ্যমন্ত্রী গোমতী জেলার করবুক এলাকায় জনতা দরবার কর্মসূচি অংশ নেবেন। এখানে উপস্থিত সবাইকে বাঁশের তৈরি গ্লাস দিয়ে পানি খাওয়াবেন বলেও জানান গৌতম শীল।
তিনি বাংলানিউজকে জানান, সরকারি নির্দেশ অনুসারে গ্লাস সরবরাহ করার জন্য রাত-দিন তিনিসহ আরও কয়েকজন কারিগর গ্লাস তৈরির কাজ করছেন। হঠাৎ করে এই অর্ডার আসায় কিছুটা ব্যস্ত সময় পার করছেন তিনি। কারণ মেশিনের নয় সম্পূর্ণভাবে হাতেই তৈরি করা হচ্ছে গ্লাসগুলো।
কচি বাঁশ থেকে গ্লাস তৈরি করার পর সেগুলো লবণ পানিতে ভিজিয়ে (একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত) রাখতে হয়। তারপর গরম পানিতে সেদ্ধ করে খাওয়ার পানি রাখার উপযুক্ত করা হয়। এক একটি গ্লাস তৈরি করতে প্রায় ৩০ রুপি খরচ হচ্ছে। তবে, গ্লাসগুলো একাধিকবার ব্যবহার করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
এই কাজে যদি মেশিন ব্যবহার করা হয় তাহলে উপাদন খরচ কমবে। আগামীদিনে এই গ্লাসের চাহিদা বাড়লে তিনি মেশিন দিয়ে গ্লাস তৈরি করবেন বলেও যোগ করেন তিনি।