Bootstrap Image Preview
ঢাকা, ২৩ মঙ্গলবার, এপ্রিল ২০২৪ | ১০ বৈশাখ ১৪৩১ | ঢাকা, ২৫ °সে

সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার, নিজ দেশে ভর্ৎসনার মুখে ট্রাম্প

বিডিমর্নিং ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১১:১৬ AM
আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৯, ১১:১৬ AM

bdmorning Image Preview


সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে কৌশলগত চমৎকার বলে আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমন একসময় তিনি এ মন্তব্য করলেন, যখন প্রতিনিধি পরিষদের দ্বিদলীয় কঠোর ভর্ৎসনার মুখোমুখি হয়েছেন।

উত্তর সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের নিন্দা জানাতে প্রতিনিধি পরিষদে আনা প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন ট্রাম্পের রিপাবলিকান দলের ১২৯ সদস্য। প্রস্তাবটি ৩৫৪-৬০ ভোটে পাস হয়েছে।

সিরিয়ায় কুর্দিশ যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তুর্কি বাহিনীর অভিযান তাৎক্ষণিক বন্ধে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে এই যৌথ প্রস্তাবে।

কংগ্রেসের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কের চরম অবনতিরই আভাসই দিচ্ছে এ প্রস্তাব। এদিকে প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্তও চলছে।

ডেমোক্র্যাটিক হাউস স্পিকার ন্যানসি পেলোসি ও সিনেটে সংখ্যালঘু নেতা চার্লস শুমারও হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের সঙ্গে একটি বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান। এটাকে একটি তিক্ত বৈঠক হিসেবে আখ্যায়িত করছেন তারা।

শুমার বলেন, পেলোসিকে তৃতীয় সারির রাজনীতিবিদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন ট্রাম্প। তখন স্পিকার বলেন, প্রেসিডেন্টের ভয়ঙ্কর অধঃপতন ঘটেছে।

এর পর টুইটারে এসে পেলোসির নিজের অধঃপতন ঘটেছে বলে অভিযোগ তোলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ডেমোক্র্যাটিক নেতার দ্রুত সহায়তা প্রয়োজন।

ট্রাম্প টুইটারে লিখেছেন, তার ওপরে ওঠার মধ্যে কিছুটা ভুল আছে কিংবা তিনি আমাদের মহান দেশকে ভালোবাসেন না। সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনাদের আকস্মিক সরিয়ে নেয়ার পর দেশের ভেতরে ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে কুর্দিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে এরদোগানকে সবুজ-সংকেত দেয়ার কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, এরদোগানের অভিযান আমাকে বিস্মিত করেনি। কারণ তিনি বহুদিন থেকে এমন একটি অভিযান চালানোর কথা বলে আসছিলেন। দীর্ঘ সময় ধরে সীমান্তে সেনা বাড়িয়ে আসছিলেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।

‘কুর্দিরাও ফেরেস্তা না’ বলে তাদের অবমাননা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সিরিয়ায় আইএসবিরোধী যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র ছিলেন কুর্দিশ ওয়াইপিজি যোদ্ধারা। যে কারণে দেশের ভেতরে নিজ দল রিপাবলিকানদেরও সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প।

তুর্কিশ অভিযানের আগে এরদোগানের সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, আমি তাকে কোনো সবুজ-সংকেত দিইনি। বরং সবুজ-সংকেতের বিপরীতেই ছিলাম। ‘ফোনালাপের পর তাকে একটি চিঠি লিখেছি, খুবই শক্তিশালী চিঠি,’ দাবি ট্রাম্পের।

Bootstrap Image Preview